Arvind Kejriwal Hearing

ঘুমের মধ্যে কেজরীর সুগার নেমে গিয়েছে ৫০-এ! আর যদি না জাগেন? আদালতে উদ্বেগপ্রকাশ আইনজীবীর

বুধবার কেজরীওয়ালের মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাই কোর্টে। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। জানান, ঘুমের মধ্যে সুগার কমে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়। এতে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৫:০৬
Share:

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল অসুস্থ। ঘুমের মধ্যেই তাঁর সুগারের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৫০-এ! দিল্লি হাই কোর্টে এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ঘুমের মধ্যে সুগার এত কমে যাওয়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। কারণ, এমন ঘটলে রোগীর আর ঘুম না ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অর্থাৎ, ঘুমের মধ্যে তাঁর মৃত্যুও হতে পারে।

Advertisement

বুধবার কেজরীর মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেজরীর আইনজীবী আদালতে তাঁর অসুস্থতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কেজরীওয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রা ৫০-এ নেমে গিয়েছিল এবং সেই সময়ে তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। এটি যথেষ্ট উদ্বেগের। কারণ, রোগীর ঘুমের মধ্যে সুগারের মাত্রা কমে যাওয়া ভয়ঙ্কর হতে পারে। রোগী আর না জাগতেও পারেন।’’ বিষয়টি সংবেদনশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেছেন আইনজীবী।

কেজরীর জামিনের আবেদন বুধবার শুনেছে উচ্চ আদালত। তবে রায় সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। আগামী ২৯ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই মামলায় তিনি ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কেজরী জেল হেফাজতে থাকাকালীনই আবার তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআইও। সেই মামলায় এখনও তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আইনজীবী বুধবার আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলকে জেলে বন্দি রাখার এখন কোনও কারণই নেই। পাশাপাশি, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কেজরীর সুগারের মাত্রা পাঁচ বার ৫০-এর নীচে নেমে গিয়েছিল বলেও আদালতে জানান আইনজীবী।

গত সপ্তাহে আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ জানান, গ্রেফতারির পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট সাড়ে আট কেজি ওজন কমেছে কেজরীর। গত ২১ মার্চ ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতারির আগে কেজরী মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তিনিই হয়েছেন দেশের ইতিহাসে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছেন। এর পর লোকসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে আবার তিহাড়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন আম আদমি পার্টির সর্বময় নেতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement