ছবি: পিটিআই।
কেবল ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান নয়, জাতীয়তাবাদ যে আরও বৃহত্তর বিষয় তা বোঝাতে পাঠ্যক্রমে ‘দেশভক্তি’ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল কেজরীবাল সরকার। এ জন্য শিক্ষক-শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা দফতরের আমলাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কোন ক্লাস থেকে পাঠ্যক্রমটি চালু হবে, তা খতিয়ে দেখার ভার দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
আগামী বছর দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ, অসমে নাগরিক পঞ্জির মতো বিষয়কে সামনে রেখে বিজেপি যখন জাতীয়তাবাদের ঝড় তুলতে চাইছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিতেই কি পড়ুয়াদের মধ্যে দেশপ্রেমের বীজ বুনতে চাইছে আপ নেতৃত্ব? আপ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার কথায়, ‘‘জাতীয়তাবাদ কারও একার সম্পত্তি নয়। বিজেপির জাতীয়তাবাদের সঙ্গে আমাদের ভাবনার পার্থক্য রয়েছে।’’ মণীশের দাবি, ওই পাঠ্যক্রমের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।
কিন্তু কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারির কথায়, ‘‘শেষ পর্যন্ত কেজরীবালদের মুখেও দেশভক্তির কথা শোনা গেল। তাঁরাই কিন্তু বালাকোট হামলার প্রমাণ চেয়ে হল্লা জুড়েছিলেন।’’ বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, আপ দেশপ্রেম বলে যা পড়ানোর কথা বলছে, তা নাগরিকের সমাজের প্রতি কর্তব্যের পাঠ ছাড়া কিছু নয়। যেমন, মণীশের কথায়, ‘‘লাল আলো উপেক্ষা করে গাড়ি চালানো, ঘুষ দেওয়া— এ সব অনিয়ম করলে যে দেশকে ফাঁকি দেওয়া হয়, সেটা ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’ মণীশ অবশ্য স্বীকার করে নেন, ‘‘অনেকেই বিষয়টি নেতিবাচক চোখে দেখছেন। কিন্তু তা বলে পিছিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।’’