অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
নয়াদিল্লি, ৩১ অক্টোবর: মণীশ সিসৌদিয়ার পরে এ বার গ্রেফতার হতে পারেন আপ আহ্বায়ক তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আজ এমনই জানালেন আপ নেত্রী অতিশী। তাঁর আশঙ্কা, আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক নয়ছয় সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ২ নভেম্বর গ্রেফতার করা হতে পারে কেজরীওয়ালকে।
এক সংবাদমাধ্যমে অতিশীর দাবি, আপের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জেলে আটকে আপকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে বিজেপি। নির্বাচনে পেরে না উঠে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে আপকে বিপাকে ফেলার কৌশল নিয়েছে পদ্ম শিবির।
অতিশীর কথায়, “খবর আছে, ২ নভেম্বর কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা হবে। তাঁকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তার কারণ দুর্নীতির অভিযোগ নয়, এর কারণ হল তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।” এর পাশাপাশি অতিশী জানিয়েছেন, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে দু’বার পরাজিত করেছে আপ। পুর নির্বাচনেও ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আপ আহ্বায়ককে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান অতিশী।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে। এই প্রথম তাঁকে তলব করল ইডি। এর আগে এপ্রিলে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তাঁকে। অতিশীর অভিযোগ, কেজরীওয়ালকে গ্রেফতারের পরে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার অন্য দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগাবে কেন্দ্রের শাসক দল। অতিশীর দাবি, এর পরে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে নিশানা করা হবে। বিহারে শাসক জোট ভাঙতে না পেরে নিশানা করা হতে পারে আরজেডি-র তেজস্বী যাদবকে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকেও নিশানা করা হতে পারে বলেও দাবি অতিশীর।
সংবাদ সংস্থা