Manipur Violence

আবার অশান্তির আগুন মণিপুরে, ইম্ফলের রাস্তায় নামল সেনা, ৮ জেলায় কার্ফু জারি করল প্রশাসন

বুধবার রাতের দিকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় রাজধানী ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর এবং কাংপোকপিতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং হিংসার ঘটনা রুখতে রাতেই পথে নামানো হয় আধা সেনা এবং অসম রাইফেলসকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইম্ফল শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১০:১৫
Share:

আবার অশান্তির আগুন মণিপুরে! ছবি: পিটিআই।

রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষে ধিকিধিকি আগুন জ্বলছিলই। মণিপুর হাই কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ সেই আগুনে ঘি ঢালল বলা চলে। আদালতের নতুন নির্দেশের পরেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা নামিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের আট জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। রাজ্যের স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মণিপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার রাতের দিকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় রাজধানী ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর এবং কাংপোকপিতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং হিংসার ঘটনা রুখতে রাতেই পথে নামানো হয় আধা সেনা এবং অসম রাইফেলসের আধিকারিকদের। সরকারি ভবনগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই প্রায় ৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে সেনা শিবিরে আনা হয়েছে। এই হিংসার ঘটনা নিয়ে বক্সার মেরি কম টুইট করে লিখেছেন, “আমার রাজ্য জ্বলছে, দয়া করে সাহায্য করুন।”

Advertisement

মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের বনাঞ্চল এবং জলাভূমির উপর জনজাতি মানুষদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে আন্দোলন চলছিলই। রাজ্য প্রশাসনের অনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের জনজাতি ছাত্র ইউনিয়ন (এটিএসইউএম)। সম্প্রতি সে রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায় তাদের তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি তুলেছে। কিন্তু রাজ্যের তফসিলি সম্প্রদায়গুলি একযোগে তার বিরোধিতা করছে। সম্প্রতি মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের এই দাবিটি বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। তার পরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।

মণিপুরে প্রায় ৫১ শতাংশ মানুষ মেইতেই সম্প্রদায়ের। তফসিলি জাতির তকমা না থাকায় সে রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার অনুমতি পায় না তারা। মেইতেইদের অভিযোগ, মায়নমার এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রাজ্যে ঢোকার ফলে তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। মেইতেইদের দাবির বিরোধিতা করছে অন্য তফসিলি সম্প্রদায়গুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement