প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গির সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলির লড়াই অব্যাহত। সোমবার রাজৌরির এক সেনাছাউনিতে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল একদল জঙ্গি। এ বার উপত্যকার বাত্তাল সেক্টরে মঙ্গলবার ভোর থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এক জন জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন।
সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, বাত্তাল এলাকায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে জঙ্গিরা প্রবেশ করার চেষ্টা করলেই জওয়ানেরা গুলি চালান। পাল্টা জঙ্গিদের দিক থেকেও ধেয়ে আসে গোলাগুলি। জঙ্গিদের ছোড়া গুলি লাগে এক সেনা জওয়ানের গায়ে। তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ৩টে থেকে জঙ্গি এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে গুলির লড়াই চলছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে মঙ্গলবারের অভিযানের কথা জানিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, ভারতীর সেনার সাহসিকতার সামনে পড়ে জঙ্গিরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ আটকানো গিয়েছে। তবে এখনও ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা।
গত কয়েক মাস ধরে বার বার অশান্ত হয়ে উঠেছে জম্মু-কাশ্মীর। কখনও সেনাছাউনিতে, কখনও আবার সেনা কনভয়ে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে সেনাও। তবে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েক জন সেনাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনায় অস্বস্তিতে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। বিরোধীরা এ নিয়েও সুর চড়িয়েছে। শনিবারই সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জম্মুতে গিয়েছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিন্হা ও অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনা করেছেন উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই পর পর দু’দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠল উপত্যকা।
অন্য দিকে, জম্মুর পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ করেছে তারা। তাদের সঙ্গে আধুনিক অস্ত্রও রয়েছে। সেই কারণেই যে কোনও সময়ে বড়সড় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার জন্য আগে থেকেই সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও খবর।