দিল্লির শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি শুরু হয়েছে। ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘ন্যাচারাল সায়েন্স’, ‘ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অন্ত্রেপ্রেনরশিপ’ এবং ‘হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশাল সায়েন্স’—এই চারটি বিভাগে ভর্তি হতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের আবেদনপত্র গ্রহণ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.snu.edu.in/home-এ অনলাইনে তাঁদের আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
২০২২ সালে ভারত সরকারের ‘ইনস্টিটিউশন অফ এমিনেন্স’ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০টিরও বেশি কর্মসূচি রয়েছে। রয়েছে মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা। বৃত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘স্কুল টপারস স্কলারশিপ’, মেধাভিত্তিক বৃত্তি, নিম্ন আয়ের পরিবারের প্রার্থীদের জন্য বৃত্তি, ক্রীড়া বৃত্তি, ‘কলেজ বোর্ড ইন্ডিয়া স্কলারশিপ’ এবং যোগ্য ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা।
দেশের শিক্ষামহলে পরিচিত নাম ‘শিব নাদার ইউনিভার্সিটি, দিল্লি-এনসিআর’ পরিচিতি তাঁর উঁচু মানের পঠনপাঠনের জন্য। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই কলকাতা থেকে এসেছেন। নিয়মিত ভাবে স্নাতক, স্নাতকোত্তর থেকে পিএইচডি পর্যন্ত পড়াশোনার সকল স্তরেই উচ্চমানের শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে গেছেন তাঁরা। প্রতি বছর ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশও আসেন পশ্চিমবঙ্গ থেকেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিন অফ অ্যাকাডেমিকস্’ তথা অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমাদের সবকটি কর্মসূচির ক্ষেত্রেই কলকাতা থেকে উচ্ছসিত সাড়া পেয়ে আমরা অভিভূত। প্রতি বছরই আবেদনের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর প্রতিভা আছে এবং আমরা দেখেছি যে এই অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের কর্মসূচিতেই শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে। এই শিক্ষাবর্ষেও আরও অনেক সেরা শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে রয়েছি।’’
দিল্লির শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা স্নাতকেরা ভারত ও বিদেশের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যান। তাঁদের অনেকেই স্নাতক ডিগ্রি সম্পূর্ণ করার পরেই সরাসরি পিএইচডি প্রোগ্রামে ঢোকার সুযোগ পান। এর থেকেই বোঝা যায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ বছরের স্নাতক-গবেষণা ডিগ্রির মূল্য আন্তর্জাতিক মানের।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্যে আরও একটি পালক হল এক ‘কেরিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ (সিডিএস)। যার ধারাবাহিক ভাবে কার্যকারিতে দেখিয়ে চলেছে। গত বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকেরা গুগল, মাইক্রোসফট, গোল্ডম্যান স্যাক্স, পিডব্লিউসি, ইউবিএস, পালো অল্টো, সিলিকন ল্যাবস, ম্যাকিনজি, এল অ্যান্ড টি, এয়ারবাস, হন্ডা, জেকে টায়ারস ইত্যাদি সহ নানা প্রথম সারির সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন।
বর্তমানে দিল্লির এই শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩,০০০ শিক্ষার্থী এবং আড়াইশো জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। প্রায় ২৮৬ একর জুড়ে বিস্তৃত একটি আবাসিক ক্যাম্পাসে রয়েছে ৫০টিরও বেশি ক্লাব এবং সোসাইটি। যা পড়ুদের সামনে এনে দিচ্ছে ক্লাসরুমের বাইরেও শেখার সুযোগ। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে অংশগ্রহণেরও বিস্তৃত সুযোগ রয়েছে পড়ুয়াদের সামনে।