প্রতীকী ছবি।
মেয়েকে নায়িকা হিসাবে দেখতে চান, তাই নাবালিকা অবস্থাতেই তাকে ‘তৈরি’ করছিলেন মা। হরমোনের ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে বহিরাগতদের সঙ্গে মেয়ের মেলামেশা, সবেতেই মায়ের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মায়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষমেশ শিশু সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কন্যা।
ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৬ বছরের ওই কিশোরী। তার অভিযোগ, তার মা তাকে নায়িকা হিসাবে দেখতে চান। তাই জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে হরমোনের ওষুধ খাওয়ান। গত চার বছর ধরে ওই ওষুধ তাকে খাওয়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, কিশোরী জানিয়েছে, ওষুধ খেলে তার সারা শরীরে যন্ত্রণা হয়। খেতে না চাইলে মা তার উপর অত্যাচার করেন। তাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা প্রক্রিয়ায় তার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, জানিয়েছে কিশোরী।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিশোরী জানিয়েছে, মা তাকে আরও সুন্দরী করে তুলতে চান। তাই হরমোনের ওষুধ খাওয়ান জোর করে। বাইরে থেকে তাদের বাড়িতে ছবির পরিচালক এবং প্রযোজকের পরিচয় দিয়ে অনেকে আসেন। মহিলা তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতেও কিশোরীকে উৎসাহ দেন বলে অভিযোগ। মায়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কিশোরী বাধ্য হয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে।
কিশোরী জানিয়েছে, মা তাকে যে ওষুধ দিতেন, তাতে এক দিন সে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় থাকত। পরের দিন তার সারা শরীর ফুলে যেত। হরমোনের বাড়তি ডোজ়ে যন্ত্রণাও হত সারা শরীরে। এর ফলে পড়াশোনায় একেবারেই সে মন দিতে পারছিল না।
কিশোরীর অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার তাদের বাড়িতে যান কমিশনের প্রধান। তাঁরা কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। মায়ের বিরুদ্ধে তোলা কিশোরীর অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।