—প্রতীকী চিত্র।
অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকারের আমলের এক অভিযোগের ভিত্তিতে এ বার তিন আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল বর্তমান টিডিপি সরকার। মুম্বইয়ের এক মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় যথাযথ তদন্ত না করেই তড়িঘড়ি তাঁকে গ্রেফতার ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে এ বার তিন আইপিএস অফিসারকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করল সরকার। তালিকায় রয়েছেন ডিজি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও।
ঘটনাটি গত বছরের। তখন জগনমোহন রেড্ডির সরকার অন্ধ্রপ্রদেশে। মডেল-অভিনেত্রীর দাবি, সেই সময় মুম্বইয়ের এক সংস্থার শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের উল্লেখ, সেই সময় থেকেই কয়েক জন পুলিশকর্তা ওই মডেলকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকি, অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে তার ফল ভুগতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি মুম্বইয়ের ওই মডেলের।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি বছরের শুরুর দিকে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের এক নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল মডেলকে। অভিযোগ ছিল, জগনের দলের ওই নেতার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন মহিলা। এই ঘটনার পর কয়েক জন পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন ওই মডেল অভিনেত্রী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে বর্তমান চন্দ্রবাবু নায়ডুর সরকার। অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের ইন্টেলিজেন্স বিভাগের প্রাক্তন প্রধান পি সীতারাম অঞ্জনেয়ুলু (ডিজি পদমর্যাদার আধিকারিক), বিজয়ওয়াড়ার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ক্রান্তিরাণা টাটা (আইজি পদমর্যাদার আধিকারিক) এবং বিজয়ওয়াড়ার তৎকালীন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিশাল গুন্নিকে (এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক) নিলম্বিত করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।
পিটিআইয়ের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায়। কিন্তু ওই মডেলকে গ্রেফতার করার জন্য ৩১ জানুয়ারি বিশাল ও ক্রান্তিরাণাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অঞ্জনেয়ুলু। অর্থাৎ, এফআইআর দায়েরের আগেই ওই মহিলাকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।