সংসদে রংবোমা নিয়ে তাণ্ডব চালানোর ছবি। —ফাইল চিত্র ।
সংসদ ভবনের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আটক করা হল কর্নাটকের এক যুবককে। বুধবার রাতে কর্নাটকের বগলকোট থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ইতিমধ্যেই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবকের নাম সাইকৃষ্ণ জাগালি। তিনি কর্নাটকের প্রাক্তন এক পুলিশকর্তার পুত্র বলে মনে করা হচ্ছে। ওই যুবক সংসদকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া মনোরঞ্জন ডি-র বন্ধু বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। সাইকৃষ্ণ এবং মনোরঞ্জন, বেঙ্গালুরুর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে একসঙ্গে একই ক্লাসে পড়াশোনা করতেন। সংসদে অনুপ্রবেশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাইকৃষ্ণের নাম উঠে আসে বলে সূত্রের খবর।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাইকৃষ্ণ কর্মসূত্রে অন্য জায়গায় থাকলেও বর্তমানে বগলকোটের বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন। বুধবার রাতে বাড়ি থেকেই সাইকৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরিবারের দাবি, সাইকৃষ্ণ কোনও ভুল কাজ করেনি। আটক হওয়া যুবকের বোন স্পন্দা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ এসেছিল। আমার দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা এই তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। দাদা কোনও ভুল করেনি। দাদা এবং মনোরঞ্জন রুমমেট ছিল। এখন আমার দাদা বাড়ি থেকে কাজ করে।’’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের কাছে ছিল রংবোমা। তা দিয়ে তাঁরা চারদিকে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবশ্য তাঁদের ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সংসদের বাইরে থেকে একই সময়ে গ্রেফতার করা হয় নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে নামে দু’জনকে। এ ছাড়া, সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ললিত ঝা এবং মহেশ কুমাওয়াত। তাঁদের সকলকেই সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। পুরো ঘটনায় ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে।