প্রতীকী ছবি।
হেফাজতের মধ্যেই আত্মঘাতী যুবক। ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে জেরা করার জন্য পুলিশ পোস্টে তলব করা হয়েছিল। সেখানেই এক ঘরে অভিযুক্ত যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই পোস্টের দায়িত্বে থাকা সব পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার বুদ্ধ নগর এলাকার বিসরখ থানার অন্তর্গত চিপিয়ানা বুজুর্গ পুলিশ পোস্টে। পুলিশ সূত্রে খবর, চিপিয়ানা গ্রামের কাছে অবস্থিত একটি কোম্পানিতে কর্মরত এক মহিলা তাঁর সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। লখনউয়ের পুলিশ সুপারের কাছে মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। লখনউ থেকে তদন্তকারী একটি দল নয়ডায় যায়। সেখানে চিপিয়ানা বুজুর্গ পুলিশ পোস্টে অভিযুক্তকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পোস্টের বাইরের ঘরে অভিযুক্ত যুবককে বসতে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের আগে তাঁকে অপেক্ষা করতে বলে তদন্তকারী দলের সদস্যেরা পোস্ট ছেড়েছিলেন। সে সময় দায়িত্বে ছিলেন এক জন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল।
হঠাৎই অভিযুক্ত যুবক উঠে একটি ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ডাকাডাকি করেও লাভ হয়নি। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেন ওই যুবক আত্মঘাতী হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পরিবারের দাবি, পুলিশের মারধরের ভয়েই চরম পদক্ষেপ করেছেন তিনি।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জ়োন ২) সুনীতি জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মী সিংহের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই পোস্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। হাসপাতালের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়েরা। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে হাসপাতালের বাইরে।