Amit Shah

নাগরিকত্ব আইনের উপকারিতায় সরব শাহ

দ্বিতীয় বার লোকসভা নির্বাচনের পরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করে মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৬
Share:

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিদেশে ‘ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার’ শিখ সমাজকে এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হলেও, ওই আইনের নিয়মবিধি গত চার বছরেও তৈরি করে উঠতে পারেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

আজ কেন্দ্রীয় সরকারকে সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি। ওই অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ‘‘মোদী সরকার দিল্লির শিখ দাঙ্গার নতুন করে তদন্ত শুরু করে। যার ফলে অনেক অপরাধী এখন শাস্তি পাচ্ছে। শাস্তিদানের প্রক্রিয়া এখনও চালু রয়েছে।’’

দ্বিতীয় বার লোকসভা নির্বাচনের পরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করে মোদী সরকার। ওই আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার, সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ) ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়।

Advertisement

আজ সেই প্রসঙ্গ টেনে শাহ বলেন, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে মোদী সরকার বিদেশে ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার শিখ ভাই-বোনেদের নাগরিকত্ব দেওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছেন।’’ কিন্তু গত চার বছরেও ওই আইনের ধারা তৈরি না হওয়ায় ওই আইন যে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি, সে বিষয়ে নীরব থাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মুঘল আমল থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতার পরে সীমান্ত রক্ষায় শিখ সমাজের অগ্রণী ভূমিকার উল্লেখ করেন তিনি।

একই সঙ্গে আজ বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিংহ সিরসার প্রশংসায় সরব হন শাহ। আগামী দিনে বিজেপির সঙ্গে শিখ সমাজের যোগাযোগ রক্ষার প্রশ্নে সিরসাই যে প্রধান হতে চলেছেন, তা বুঝিয়ে দেন তিনি।

আজ শাহ যখন শিখ সমাজের সঙ্গে বিজেপির উন্নতিসাধনে তৎপর, তখন পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল এবং বিজেপির একাধিক নেতা এআইসিসি-র সাংগঠনিক সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের মতে, পঞ্জাবের ওই নেতারা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁদের দলে স্বাগত জানান বেণুগোপাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement