Amarinder Singh

Amarinder Singh: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা অমরেন্দ্রর, ‘বিকল্পের’ কথা বলে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত

অমরেন্দ্রর সঙ্গে আম আদমি পার্টি-র ‘যোগাযোগ’ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইস্তফা দেওয়ার পর অমরেন্দ্রও কংগ্রেস ছাড়ার সম্ভাবনা উস্কে দেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:২৩
Share:

অমরেন্দ্র সিংহের পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কে? ফাইল চিত্র

জল্পনা ছিল, শনিবার বিকেল ৫টায় কংগ্রেস বিধায়কদলের বৈঠকে তাঁকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হবে। তার ঠিক আধ ঘণ্টা আগে নাটকীয় ভাবে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে ইস্তফা দিলেন ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। পঞ্চনদের তীরে জল্পনা, এর পর কংগ্রেস ছাড়তে পারেন তিনি।

কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে ইতিমধ্যেই অমরেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছেন অপমান সহ্য করে তিনি আর দলে থাকতে চান না। অমরেন্দ্রর সঙ্গে আম আদমি পার্টি (আপ)-র গোপন যোগাযোগ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। ইস্তফা ঘোষণার পরে অমরেন্দ্র নিজেই কংগ্রেস ছাড়ার সম্ভাবনা উস্কে দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সামনে সব বিকল্পই খোলা রয়েছে।’’

Advertisement

কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অমরেন্দ্রর সঙ্গে কোনও আলোচনাই না করেই পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়ত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডাকেন বলে অভিযোগ। চণ্ডীগড়ের প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে আয়োজিত ওই বৈঠকে অমরেন্দ্র বা তাঁর অনুগামীরা যোগ দেননি। বরং অমরেন্দ্রর নেতৃত্বে রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের জন্য আলাদা ভাবে বৈঠক করেন তাঁরা। চলতি ঘটনাপ্রবাহ পঞ্জাব কংগ্রেসের ভাঙনের ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, আশির দশকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানের প্রতিবাদে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন পাটিয়ালার রাজ পরিবারের সন্তান তথা প্রাক্তন সেনা অফিসার অমরেন্দ্র। কয়েক বছর পরে ফের দলে ফেরেন তিনি।

জুলাই মাসে অমরেন্দ্রের আপত্তি সত্ত্বেও নভজোৎ সিংহ সিধুকে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন সনিয়া। এর পর ধারাবাহিক ভাবে দু’গোষ্ঠীর বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। সিধু অনুগামী একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ক প্রকাশ্যে অমরেন্দ্রর অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছেন। অন্যদিকে, রাহুল গাঁধী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সৌন্দর্যায়নের নামে ঐতিহাসিক স্মারক জালিয়ানওয়ালা বাগের রূপ বদল নিয়ে প্রকাশ্যে কেন্দ্রের সমালোচনা করলেও অমরেন্দ্র জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ওই উদ্যোগ তাঁর ভাল লেগেছে।

আগামী বছরের গোড়ায় উত্তরপ্রদেশে, উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে পঞ্জাবেরও বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। অমরেন্দ্র দল ছাড়লে ওই রাজ্য কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement