প্রতীকী ছবি।
হাথরসের ঘটনা নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে ফের সামনে এল যোগী-রাজ্যে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ভয় দেখানোয় নির্যাতিতাকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে নাগপুরে গিয়ে এফআইআর করতে হয়েছে বলে অভিযোগ।
নাগপুরের কোরাড়ি থানায় নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে কাজের খোঁজে নেপাল থেকে ভারতে এসেছিলেন তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে লখনউয়ে ফৈজ়াবাদ রোডে এক বান্ধবীর সঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছিলেন। সেই বান্ধবীই তাঁকে অভিযুক্ত প্রবীণ রাজপাল যাদবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রবীণ দুবাইয়ের একটি সংস্থায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করে। তার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছিল নির্যাতিতার।
নির্যাতিতার অভিযোগ, বান্ধবীর কাছে দেড় লক্ষ টাকা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা ফেরৎ চাইতেই তাঁকে মারধর করে বান্ধবী। প্রবীণকে এ কথা জানান নির্যাতিতা। প্রবীণ লখনউয়ে একটি হোটেলের ঘর ভাড়া করে তাঁকে সেখানে চলে আসতে বলে। কয়েক দিন পরে প্রবীণও সেখানে আসে। নির্যাতিতার অভিযোগ, হোটেলের ঘরেই তাঁকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণ করে প্রবীণ। কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিয়োও তোলে। তার পরে তাঁকে
লখনউয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায় সে। অভিযোগ, সেখানেও সে তাঁকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণ করে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকিও দেয়।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এক নেপালি বন্ধুর কাছে আসেন তিনি। ৩০ সেপ্টেম্বর সেই বন্ধুর সাহায্যে নাগপুরের কোরাড়ি থানায় ‘জ়িরো এফআইআর’ করেন। এই এফআইআর পরে সংশ্লিষ্ট থানাকে হস্তান্তর করা যায়।
নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে পুলিশের একটি দল ও নাগপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের চিঠি নিয়ে নির্যাতিতা লখনউ গিয়েছেন। সেখানকার ছিনহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন তিনি।