'আত্মজন নাট্যোৎসব ২০২৪'-এর অনুষ্ঠানের সূচনায় অতিথিরা। —নিজস্ব চিত্র।
থিয়েটারের মানচিত্রে গোবরডাঙা আদতে নাটকের শহর। সেই থিয়েটারকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে বাবুপাড়া আত্মজ নাট্য সংস্থা। সম্প্রতি তারা আয়োজন করেছিল ‘আত্মজন নাট্যোৎসব ২০২৪’। শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটারের দীপা ব্রহ্ম মঞ্চ এবং নকসা সংস্কৃতি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই নাট্যোৎসব। দু’দিনে মোট সাতটি নাটক অনুষ্ঠিত হয়।
আত্মজ নাট্য সংস্থার নাট্যোৎসবে উপস্থিত ছিলেন অসমের অভিনব থিয়েটারের পরিচালক দয়ালকৃষ্ণ নাথ, সুপ্রীতি নাথ, নাট্যকার ও পরিচালক আশিস চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা শ্যামল দত্ত প্রমুখ। শ্যামলকে ‘অণিমা চক্রবর্তী স্মৃতি আত্মজন সম্মান’ প্রদান করা হয়। প্রয়াত অভিনেত্রী দীপা ব্রহ্মকে প্রদান করা হয় ‘অণিমা চক্রবর্তী স্মৃতি মরণোত্তর সম্মান’। তাঁর স্বামী আশিসের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই স্মারক।
উৎসবের প্রথম দিন আত্মজ নাট্য সংস্থার নিজস্ব প্রযোজনা সলিল চৌধুরী রচিত ‘অরুণোদয়ের পথে’ অভিনীচত হয়। ওই নাটকে অতিরিক্ত সংযোজন করেছেন জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়। পরিচালক তাপস দাস। জয়ন্ত, রাজীব দাস ও দীপাঞ্জন দাসের অভিনয় দর্শকেরা উপভোগ করেন। নাটকটির আলোক সম্পাতে ছিলেন সুজয় পাল। আবহ সঙ্গীতে তিলক মুখোপাধ্যায়। দ্বিতীয় নাটক কমল পাল নির্দেশিত বসিরহাট স্বপ্নসৃজনীর ‘বেঁচে থাকা’। প্রথম দিনের শেষ নাটক দমদম চক্রবাক নিবেদিত ‘ভয়’।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম নাটক ছিল যোগরাজ চৌধুরী নির্দেশিত, বাংলার সিঞ্চন হালিশহর প্রযোজিত ‘হার্ট’। দ্বিতীয় প্রযোজনা সোদপুর অন্তরদীপন সোসাইটির ‘বদনাম’। নির্দেশনায় পূর্ণা পাল। কলকাতা রূপ ও রং থিয়েট্রিক্যালসের ‘নাক গলাবেন না প্লিজ’ অভিনীত হয় তৃতীয় নাটক হিসাবে। নির্দেশক মনোসিজ জানা। উৎসবের শেষ নাটক অমিত দে নির্দেশিত, ব্যারাকপুর স্বজনের ‘রিং’।