কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা।
একটি আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছেন কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। পরিস্থিতি এমনি যে, তিনি আর মন্ত্রী থাকবেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যদিও ঈশ্বরাপ্পার দাবি, তিনি পদত্যাগ করবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাপ্রচার’ করা হচ্ছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই জানিয়েছেন, কোনও পদক্ষেপের আগে তিনি ঈশ্বরাপ্পার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন। রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস অভিযুক্ত মন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে।
কর্নাটকের উদুপির একটি লজে গত কাল আত্মহত্যা করেন সন্তোষ পাটিল নামে ৩৭ বছরের এক ঠিকাদার। মৃত্যুর আগে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ তাঁর বন্ধু ও পরিজনকে জানান, তাঁর মৃত্যুর জন্য মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাই দায়ী। মৃত ঠিকাদারের অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাজ করেছিলেন। বিল হয়েছিল ৪ কোটি টাকা। তার ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন অভিযুক্ত মন্ত্রী। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে আবেদন জানিয়েছেন সন্তোষ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তোষের ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে ১ নম্বর অভিযুক্তের নাম ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। ঈশ্বরাপ্পা বলেন, ‘‘ওই সুইসাইড নোট মিথ্যে। তার কোনও ভিত্তি নেই। হোয়াটসঅ্যাপকে সুইসাইড নোট হিসাবে ধরা হয় নাকি? অন্য কেউ তো টাইপ করে দিতে পারে।’’ তাঁর পদত্যাগের দাবি সম্পর্কে কর্নাটকের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রী ও দলের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’ তিনি দাবি করেছেন, আত্মঘাতী ঠিকদার সন্তোষের সঙ্গে তিনি কোনও দিন দেখাই করেননি। তাঁর অভিযোগ, সন্তোষ কাজ না করেই টাকা দাবি করেছিলেন। কংগ্রেস যে পদত্যাগের দাবি তুলেছে, সে সম্পর্কে ঈশ্বরাপ্পার বক্তব্য, ‘‘কাজ না করেই টাকা চেয়েছিলেন সন্তোষ। কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি কাজ না করলে টাকা দিতেন?’’
ঈশ্বরাপ্পার পদত্যাগের দাবিতে সরব বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক মন্ত্রীকে। কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বলেন, ‘‘এটা আত্মহত্যা নয়, হত্যা। বিজেপির যদি লজ্জা থাকে, তা হলে এখনই মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হোক।’’