নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে চিকিৎসকদের আন্দোলন। —ফাইল চিত্র।
রোগীমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। তার পরই রোগীর পরিজনদের রোষ গিয়ে পড়ে ডাক্তারদের উপর। রোগীর পাঁচ আত্মীয় মিলে হাসপাতালের তিন জন জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে অসমের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃতের পাঁচ আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর থেকে দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। দাবি উঠেছে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থলের। এ সবের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকদের নিগ্রহ ও হেনস্থার অভিযোগ উঠে আসছে। এ বার তাতে নতুন সংযোজন গুয়াহাটি।
গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল শুধুমাত্র অসমের নয়, গোটা উত্তরপূর্ব ভারতের একটি অন্যতম বড় সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার পথ দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার এক যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় যুবকের। এর পরই পরিবারের রোষ গিয়ে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর। মৃতের আত্মীয়দের দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সেই ক্ষোভে তিন জুনিয়র ডাক্তারের উপর তাঁরা হামলা করেন বলে অভিযোগ।
ওই ঘটনার পর গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং চিফ সুপারিনটেন্ডেন্টের অফিস থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়, সেই দাবি তোলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দু’দিন আগেই মুম্বইয়ে এক মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল রোগী ও তাঁদের পরিজনদের বিরুদ্ধে। সোমবার কাশ্মীরের রাজৌরিতে এক মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিজনজদের বিরুদ্ধে। এ বার গুয়াহাটিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলার অভিযোগ। উল্লেখ্য, আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার মঙ্গলবার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেও উঠে এসেছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে সাত সদস্যের একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।