চিকিৎসকদের প্রতিবাদ-অবস্থান। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় উত্তাল গোটা দেশ। এরই মধ্যে শনিবার গভীর রাতে কর্মরত অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ। ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের এক হাসপাতাল। রেসিডেন্ট ডাক্তারদের অভিযোগ, সেই সময়ে ওই মহিলা চিকিৎসক ওয়ার্ডে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। তখনই রোগী ও তাঁর সঙ্গে আসা মত্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসকের উপর হামলা চালান।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, এক রোগীর চিকিৎসা করছিলেন নিগৃহীতা। সেই সময় তাঁর পরিজনেরা ওই মহিলা চিকিৎসকের উদ্দেশে কুকথা বলেন ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দাবি, রোগীর সঙ্গে আরও পাঁচ-ছ’জন ব্যক্তি ছিলেন। মত্ত অবস্থায় তাঁরা ওই চিকিৎসককে নিগ্রহ করেন। শনিবার গভীর রাতের ওই ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তেরা। এর পর সকালে মহিলা চিকিৎসক মুম্বইয়ের সিয়ন থানায় অভিযোগ জানান।
সেখানকার চিকিৎসক সংগঠন ‘মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস’ এই ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের সংগঠনের বক্তব্য, “নিরাপত্তায় কতটা খামতি রয়েছে এই ঘটনা তা আবারও দেখিয়ে দিল। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপস করা যাবে না। প্রতিটি হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছে দেশের চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন আইএমএ। সংগঠনের তরফে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছাড়াও প্রতিটি হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা বিমানবন্দরের মতো কড়া করার দাবি করা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালকে সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে দেওয়ার পাশাপাশি, নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো, চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য সুরক্ষিত স্থান নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে। নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির মাঝেই নিগৃহীত হলেন মহিলা চিকিৎসক। এর জেরে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বেআব্রু চেহারা আরও প্রকট হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।