মন্দির নথিভুক্ত করাতে হবে বিহারে। ছবি: পিটিআই।
মন্দির নথিভুক্ত করাতে হবে বিহারে। এই মর্মে বিহারের আইনমন্ত্রী রাজ্যের ৩৮টি জেলাকে নির্দেশ পাঠিয়েছেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এই জেলাগুলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চার হাজার অনথিভুক্ত মন্দির, মঠকে সরকারি হিসাবের আওতায় আনতে হবে।
বিহারের একাধিক মন্দির কর্তৃপক্ষ বা মঠ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ মূলত, মন্দির বা মঠের জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের। এই প্রেক্ষিতে এ বার রাজ্যের সমস্ত মন্দিরকে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত করতে চাইছে বিহারের নীতীশ কুমারের সরকার। এর পাশাপাশি বিহার সরকার রাজ্যে সমস্ত নথিভুক্ত মন্দির, মঠের এলাকা ঘিরে দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে। এতে মন্দিরের জমি দখল হওয়া আটকানো যাবে বলে মনে করছেন পটনার কর্তারা।
বিহারে সমস্ত মন্দির, মঠ, ট্রাস্ট এবং ধর্মশালার নথিভুক্তি করানো বাধ্যতামূলক। এই প্রসঙ্গেই আইনমন্ত্রী শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘বার বার নোটিস পাঠানো হলেও রাজ্যের প্রায় চার হাজার মন্দির, মঠ এবং ট্রাস্ট রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে। তাদের অতিদ্রুত ‘বিহার স্টেট বোর্ড অফ রিলিজিয়াস ট্রাস্ট’ (বিএসবিআরটি)-এর আওতায় নথিভুক্ত হতে হবে। এ জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। আমি সমস্ত জেলাশাসককে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছি, যাতে তিন মাসের মধ্যে সমস্ত অনথিভুক্ত মন্দির, মঠ এবং ট্রাস্টকে সরকারি খাতায় আনা যায়। এই সময়ের মধ্যে যে সমস্ত মন্দির, মঠ নথিভুক্ত হবে না, তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইনি পথে ব্যবস্থা নেবে।’’
আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে সমস্ত মন্দির বা মঠের অর্থ নেই, তাদের স্থানীয় বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য করা হবে। যাতে তারা সেই অর্থে মন্দির বা মঠ ঘিরে ফেলার কাজ করতে পারেন।
বিএসবিআরটির তথ্য অনুযায়ী, বিহারে নথিভুক্ত মঠ, মন্দিরের সংখ্যা ৩,০০২। সব মিলিয়ে জমির পরিমাণ ১৮ হাজার ৫০০ একর। এছাড়াও রাজ্যে ৪,০৫৫টি অনথিভুক্ত মন্দির, মঠ আছে, যার সম্মিলিত জমির পরিমাণ ৪,৪০০ একরেরও বেশি। এই তথ্যই বলছে, বিহারের মুজফফরপুরে সবচেয়ে বেশি অনথিভুক্ত মন্দির ও মঠ রয়েছে ৪৩৩টি। এছাড়াও রয়েছে সমস্তিপুর, দ্বারভাঙা, পূর্ব চম্পারণ, ভাগলপুর, বৈশালী, সীতামারহি, রোহতাস, ভোজপুর, বেগুসরাই, নালন্দা, সারন জেলার নাম।