কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বুধবার দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৮। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। সংক্রমণের হার ০.২৬ শতাংশ।
ফাইল চিত্র।
দেশে কোভিডের সংক্রমণ প্রতি দিনই কমছে। তাই গত দু’বছর ধরে যে সমস্ত কোভিডবিধি জারি ছিল, আগামী ৩১ মার্চ থেকে সেই কোভিডবিধি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। তবে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি আগের মতোই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা বলেন, “কোভিড সংক্রান্ত যে সব বিধিনিষেধ ৩১ মার্চ বহাল রয়েছে, নতুন করে আর কোনও নির্দেশ জারি করা হবে না। তবে মাস্ক, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলি বহাল থাকবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি কখন কোন দিকে মোড় নিচ্ছে সে বিষয়েও জনসাধারণকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর ২০২০-র ২৪ মার্চ কোভিডবিধি সংক্রান্ত প্রথম নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর সময়ে সময়ে সেই নির্দেশিকা বদলানো হয়েছে, নতুন কোভিডবিধি জারি করা হয়েছে। সংক্রমণের ছবি যে ভাবে বদলেছে, ধাপে ধাপে সে ভাবেও কোভিড বিধিনিষেধে শিথিলতা আনা হয়েছে। তবে সংক্রমণের শুরু থেকে দু’বছর পেরিয়ে এই সময়ে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তা ছাড়া দেশ জুড়ে টিকাকরণের কাজও যথেষ্ট সন্তোষজনক ভাবে হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে গত দু’বছর ধরে লাগাতার যোগাযোগ রেখে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। কোথায় কী ভাবে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা হচ্ছে, কোথায় সংক্রমণ বাড়ছে, কোথায় কমছে, কত পরীক্ষা হচ্ছে, টিকারকরণ, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, চিকিৎসা-সহ একাধিক বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, অতিমারি সামাল দেওয়ার জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো-সহ একাধিক বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোভিড নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার মাত্রা অনেক বেশি বেড়েছে। কোভিডবিধি ঠিক মতো মেনে চলার ক্ষেত্রেও তাঁরা অনেক সচেতন হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বুধবার দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৮। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। সংক্রমণের হার ০.২৬ শতাংশ।