দমকল জানিয়েছে, দেহগুলি এমন ভাবে ঝলসে গিয়েছে যে চেনার উপায় নেই। দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পরই দেহগুলি শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখছে দমকল।
আগুনের গ্রাসে কাঠের গুদাম।
তখনও সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। কেউ টেরই পাননি, গুদামে আগুন লেগে গিয়েছে। যত ক্ষণে তাঁরা টের পেয়েছিলেন, তত ক্ষণে চার পাশ থেকে ঘিরে ধরেছিল আগুন। পালানোর কোনও উপায় ছিল না। ভোর তখন চারটে। আশপাশের মানুষেরও তখন ঘুম ভাঙেনি।
আগুন চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলায় নিজেদের বাঁচাতে পারিত্রাহী চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। যত ক্ষণে আশপাশের মানুষ টের পেয়ে দমকলে খবর দিয়েছিলেন, তত ক্ষণে সব শেষ। দমবন্ধ হয়ে, ঝলসে মৃত্যু হয়েছিল ১১ জন শ্রমিকের। বুধবার ভোরে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদের ভোইগুডা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। ভোইগুডায় একটি কাঠের কারখানায় কাজ করতেন তাঁরা। কারখানার গুদামের ঠিক উপরের তলাতেই শ্রমিকরা থাকতেন। আগুন লাগার পরই এক শ্রমিক কোনও রকমে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান। কিন্তু বাকিদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। দমকল জানিয়েছে, এত জন শ্রমিকের একসঙ্গে মৃত্যু হত না, যদি বেরনোর পথ ঠিক থাকত। নীচে নামার জন্য ঘুরন্ত সিঁড়ি ছিল। কিন্তু সেই সিঁড়ি দিয়ে এত জন একসঙ্গে নেমে আসার সুযোগ পাননি। প্রাথমিক ভাবে দমকল মনে করছে, তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রচণ্ড ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন সকলেই। তার পরই আগুনের গ্রাসে ঝলসে যায় ১১ জন শ্রমিকের দেহ।
দমকল জানিয়েছে, দেহগুলি এমন ভাবে ঝলসে গিয়েছে যে চেনার উপায় নেই। দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পরই দেহগুলি শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখছে দমকল।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি মৃতদের পরিবারগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।