—প্রতীকী ছবি।
মেয়েকে খুনের অভিযোগ মাদকাসক্ত বাবার বিরুদ্ধে। তেলঙ্গানার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ১২ বছরের কিশোরী মেয়ে ধর্ষণে বাধা দিয়েছিল বলে খুন করেন বাবা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে কিশোরীর পরিবার তেলঙ্গানার মাহুবাবাদ জেলা থেকে হায়দরাবাদের মিয়াপুরে চলে আসে। গত ৭ জুন কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। জানায়, মাহুবাবাদে ফিরে যেতে চায় সে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন সকাল ১০টা নাগাদ একটি দোকান থেকে তার বাবা তাকে নিয়ে যায়। জানান, মায়ের কাছে নিয়ে যাবেন কিশোরীকে। এর পর কিশোরীকে জঙ্গলে নিয়ে যান তিনি। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ঘটনা। জঙ্গলে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। কিশোরী চিৎকার করে। জানায়, তার মাকে বলে দেবে।
এর পরেই কিশোরীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন অভিযুক্ত। কিশোরী আহত হয়। তাতেও দমেননি তাঁর বাবা। পাথর দিয়ে তাকে আঘাত করেন তিনি। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যান। ১১ মিনিট পর আবার সেখানে ফিরে এসে দেখে নেন, কিশোরী মারা গিয়েছে কি না! এর পর বাড়ি ফিরে পোশাক বদল করে স্ত্রীকে জানান, তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ। এর পর থানায় গিয়ে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান তিনি।
১৩ জুন মিয়াপুরের জঙ্গলে কিশোরীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এর পর তদন্তে নামে পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে পান, এক ব্যক্তি কিশোরীর সঙ্গে জঙ্গলে ঢুকছেন। কিন্তু বার হচ্ছেন একা। এসিপি নরসিংহ রাও জানিয়েছেন, এর পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় তিনি মেয়েক খুনের কথা স্বীকার করেছেন। তদন্তে পুলিশ এ-ও জেনেছে, পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলেন অভিযুক্ত।