সে দিন তাঁরা পাশাপাশি, ভাইপো অজিত পওয়ার এবং কাকা শরদ। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে এনসিপির নেতার তারকা প্রচারকের তালিকায় ঠাঁই হল না দলের প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিতের। দলের একটি সূত্রের খবর, ধারাবাহিক ভাবে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠার কারণেই তাঁর নাম ছেঁটে দিয়েছেন কাকা শরদ পওয়ার। এর ফলে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতের বিজেপির সহযোগী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে জল্পনা দানা বেঁধেছে। ভাইপো অজিতকে ছেঁটে ফেললেও এনসিপির ১৫ জনের তারকা প্রচারকের তালিকায় শরদ পওয়ার রেখেছেন তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলে এবং ‘বিজেপি-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত সাংসদ প্রফুল পটেলকে।
চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে গুঞ্জন চলছে, অজিত এনসিপি-র অন্তত ৩০ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছেন। যদিও মঙ্গলবার রাতে শরদ, তাঁর সাংসদ-কন্যা সুপ্রিয়া এবং ভাইপো অজিত, তিন জনেই এনসিপিতে ভাঙনের ‘জল্পনা’ খারিজ করে দেন। কিন্তু শুক্রবার ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ অজিত বলেন, ‘‘আমি এখনও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার।’’
শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে শিবসেনায় ভাঙন এবং উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হওয়ার পরে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাডী’র বৃহত্তম দল হয়েছে এনসিপি। দলের পরিষদীয় নেতা হিসেবে গত জুলাই মাসে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন অজিত। তার আগে উদ্ধব সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তিনি দল ছাড়লে এনসিপি সঙ্কটে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পরেও এনসিপি প্রধান শরদের ভাইপো অজিত ‘বিদ্রোহী’ হয়েছিলেন। তাঁর সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ইস্তফা দিতে হয়ে তাঁদের দু’জনকে। এর পর অজিত আবার শরদের শিবিরে আশ্রয় নেন। তাঁকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাডী জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন শরদ।
মহারাষ্ট্রে এখন শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে আসা শিন্ডের গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপির জোট সরকার চলছে। কিন্তু দলত্যাগ-বিরোধী আইনে শিন্ডে এবং তাঁর বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। সম্ভাব্য সেই পরিস্থিতিতে শিন্ডের পরিবর্তে অজিতের সঙ্গে হাত মেলানোর ‘বিকল্প পরিকল্পনা’ বিজেপি তৈরি করেছে বলে মরাঠা রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন।