ফাইল চিত্র।
হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু নিহত হওয়ার পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পশ্চিম সীমান্তে পাক বায়ুসেনার গতিবিধি বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলওয়ামার বেগপুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এ নিহত হয় নাইকু। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, সে দিনই রাতে নাইকু পরিবারের কয়েক জন সদস্যের উপস্থিতিতে তার দেহ সোনমার্গে সমাহিত করা হয়। বড় জমায়েত ও গোলমালের সম্ভাবনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নাইকু নিহত হওয়ার পরে গত কয়েক দিন ধরে অশান্তি ছড়িয়েছে উপত্যকার কয়েকটি এলাকায়।
এই পরিস্থিতিতে গত কাল উচ্চপদস্থ সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন ডোভাল। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এর প্রশংসা করেন ডোভাল। সেইসঙ্গে তিনি জানান, স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রংহ ও বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোয় সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। পুলওয়ামায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান এখনও কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে। সম্প্রতি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে লঞ্চপ্যাডে জঙ্গিদের সংখ্যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ২৩০ জন থেকে বেড়ে ৪৫০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ১১ মে উপত্যকায় বড় ধরনের হামলা করার জন্য ওই জঙ্গিদের কাশ্মীরে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। আবার এরই মধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইট করে দাবি করেছেন, কাশ্মীরের অশান্তি ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। কিন্তু ভারত ওই অশান্তিতে পাক মদতের অভিযোগ তুলে অভিযানে নামতে পারে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাক বায়ুসেনাকে সতর্ক করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের কর্তাদের মতে, জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানোর পাশাপাশি পাকিস্তান ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতে চাইছে। সে জন্যই এই কৌশল নিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় বাহিনীর অনুপ্রবেশ-বিরোধী গ্রিড ও উপত্যকায় জঙ্গি-দমন গ্রিড আরও শক্তিশালী করার উপরে জোর দিয়েছেন ডোভাল।