আরও পাঁচ বছরের জন্য জাতীীয় উপদেষ্টার পদে অজিত ডোভালকে নিয়োগ করল কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে সাফল্য এসেছিল। আবার ভোটের মুখে বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানেও পাকিস্তানকে জোর ধাক্কা দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার সাফল্য আবার এতটাই যে, সেই অভিযান ঘিরে জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলে ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। মোদী-১ সরকারের এই দুই বড় সাফল্যের নেপথ্য কারিগর ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি অ্যাডভাইজার (এনএসএ) অজিত ডোভাল। মোদী সরকারের এই সাফল্যের পুরস্কার হিসেব শুধু আরও পাঁচ বছর স্বপদে পুনর্বহালই নয়, পদমর্যাদাও বাড়িয়ে দিল মোদী-২ সরকার।
২০১৪-য় এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাঁচ বছর দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব। এ বার ৭২ বছরের সেই অজিত ডোভালকেই আরও পাঁচ বছরের জন্য এনএসএ পদে নিয়োগ করল কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদীর প্রথম বারের প্রধানমন্ত্রিত্বের পাঁচ বছরে তাঁর পদমর্যাদা ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সমান। সরকারের শীর্ষ সূত্রে খবর, নিয়োগের পাশাপাশি তাঁর সেই পদমর্যাদাও এ বার বাড়িয়ে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা। অর্থাৎ এ বার থেকে পূর্ণমন্ত্রীর মতোই যাবতীয় সুযোগসুবিধা পাবেন ডোভাল।
২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই প্রাক্তন গোয়েন্দাকর্তা ডোভালকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে নিয়ে আসেন নরেন্দ্র মোদী। তার পর একে একে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জঙ্গি দমনে তাঁর নেতৃত্বেই সাফল্য এসেছে বলে মনে করছে মোদী সরকার।
২০১৬ সালে উরিতে জঙ্গি হানার পর তাঁর নেতৃত্বেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। সেই সময় যা মোদী সরকারের পক্ষে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। এর পর ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারত-চিন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় মূলত ডোভালের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়।
আরও পডু়ন: দেশ জুড়ে সমালোচনার জের, হিন্দি বাধ্যতামূলক নয়, চাপের মুখে জাতীয় খসড়া নীতিতে সংশোধন
আরও পড়ুন: ১৭ মন্ত্রীর এলাকায় হার, কেউ মিডিয়াকে এড়াচ্ছেন, কেউ বলছেন, গোলমাল ছিল ইভিএম-এ
তার পর এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে জইশ জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা ফেলে এসেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই অভিযানের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নেও তাঁর ভূমিকা ছিল সর্বাগ্রে। আর ভোটের মুখে বায়ুসেনার এই অভিযানকে হাতিয়ার করেই ব্যাপক জাতীয়তাবাদের হাওয়া কাজে লাগিয়ে ফের মসনদে ফিরেছেন মোদী। ডোভালকেও তাই আরও পাঁচ বছরের জন্য রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদীর মন্ত্রিসভা।
১৯৬৮-তে কেরল ক্যাডারের আইপিএস ডোভাল চাকরিতে যোগদান করেন ১৯৬৮ সালে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানোর পর ২০০৫ সালে অবসর নেন। অবসরের আগে প্রায় দশ বছর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অধিকর্তা ছিলেন ডোভাল।