ভাগবত এবং ওয়েইসি। ফাইল চিত্র।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের গনপিটুন-মন্তব্যের জবাব দিলেন এআইএমআইএম (মিম) নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সোমবার ধারাবাহিক টুইটে সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে গো-রক্ষার অজুহাতে গণপিটুনির অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
রবিবার সঙ্ঘ প্রভাবিত সংগঠন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের একটি কর্মসূচিতে ভাগবত বলেছিলেন, ‘‘যে বা যাঁরা গো-রক্ষার দোহাই দিয়ে গণরোষ তৈরি করে কাউকে কাউকে আক্রমণ করছেন, তাঁরাও হিন্দুত্বের বিরোধী। মনে রাখতে হবে ভারতের হিন্দু, মুসলমান একই উৎস থেকে এসেছেন।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যিনি বলবেন, ‘মুসলিমরা ভারতে থাকবেন না’, তিনি আসলে হিন্দুই নন।’’
ভাগবতের মন্তব্যকে স্বাগত জানানোর বদলে সোমবার কটাক্ষ করেছেন ওয়েইসি। হায়দরাবাদের সাংসদের টুইট-মন্তব্য, ‘আরএসএস প্রধান ভাগবত বলেছেন, গণপিটুনিতে জড়িতরা হিন্দুত্বের বিরোধী। ওই অপরাধীরা গরু এবং মহিষের ফারাক জানে না। কিন্তু খুন করার জন্য জুনেদ, আখলাখ, পহলু, রকবর, আলিমুদ্দিনের নামই যথেষ্ট বলে জানে। এটা বিদ্বেষমূলক হিন্দুত্ব।
ওয়েইসির অভিযোগ, ‘কাপুরুষতা, হিংসা এবং খুন গডসে-পন্থী হিন্দুত্ববাদীদের ভাবনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মুসলিমদের গণপিটুনিও সেই চিন্তারই ফল’।
অন্য একটি টুইটে ওয়েইসি লিখেছেন, ‘আলিমনুদ্দিনের খুনিকে মালা পরিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আখলাখের খুনির মৃতদেহের উপর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল তেরঙা পতাকা। আসিফের হত্যাকারীর সমর্থনে আয়োজন হয়েছিল মহাপঞ্চেয়েতের। সেখানে বিজেপি-র এক মুখপাত্র প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘আমরা কি তবে খুনও করতে পারব না’?’
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন আলিমুদ্দিন। তাঁর হত্যাকারীদের মালা পরিয়েছিলেন, তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহার ছেলে তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত। অন্যদিকে, দাদরি হত্যাকাণ্ডে জেলবন্দি অভিযুক্ত রবি শিসৌদিয়ার মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ নয়াডা এনে জাতীয় পতাকায় ঢাকা হয়েছিল বলে অভিযোগ।