সাতসকালে পিকে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাস প্রগতি ভবনে গিয়ে দেখা করেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় সারাদিন-সারারাত ধরে তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলে। রবিবারও ফের দু’জনের মধ্যে আলোচনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার তেলঙ্গানার কংগ্রেস-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন পিকে। ফাইল ছবি
তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। ২০২৪-এর আগে কংগ্রেসের উত্থান কোন পথে সম্ভব, সেই রাস্তা বাতলাতে একাধিক বার সনিয়া এবং রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিনি। সেই বৈঠকে তাঁকে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু আলোচনা প্রক্রিয়া চলাকালীন শনিবার তেলঙ্গানার কংগ্রেস-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন পিকে।
সাতসকালে পিকে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাস প্রগতি ভবনে গিয়ে দেখা করেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় সারাদিন-সারারাত ধরে তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলে। রবিবারও ফের দু’জনের মধ্যে আলোচনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেসিআর ( তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয় নাম) অবশ্য এই আলোচনার আগেই জানিয়েছিলেন, বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের রণকৌশল তৈরি করতে পিকে তাঁকে সাহায্য করবেন। সে বিষয়েই কি আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে?
তবে এই আলোচনাকে কেন্দ্র করে অন্য একটি বিষয়ও উঠে আসছে। তেলঙ্গানায় মূল বিরোধী দল কংগ্রেস। সেই কংগ্রেসে পিকের যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে শাসকদলের প্রধানের সঙ্গে তাঁর আলোচনা নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিধানসভা ভোটের আগে যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, ১৬ এপ্রিল পিকে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে যে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন, তাতে তেলঙ্গানায় কেসিআরের দলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দলের একাংশ সেই জোটের বিষয়ে তেমন আগ্রহী নয়। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দল। ৬ মে তেলঙ্গানায় জনসভা করবেন রাহুল গাঁধী। তার আগে পিকের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে।