টুইটারের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।
ছোট্ট শিশুর ‘অপরাধ’, বাবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করা। সেই লঘু অপরাধেই এমন গুরুতর শাস্তি দিল তার বাবা যে, সেই ভিডিয়ো দেখলেও শিউরে উঠতে হয়। পায়ে দড়ি বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে গ্রামবাসীদের সামনেই দড়িকে চাবুকের মতো ব্যবহার করে পেটাচ্ছেন বাবা। উত্তরপ্রদেশের আগরায় এমনই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ছেলেকে জানলার একটি রডের সঙ্গে পা বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাবা। আর তাঁর হাতে দড়ি দিয়ে বানানো চাবুক। তাই দিয়ে ছেলেকে মেরে চলেছেন বাবা। গ্রামবাসীদের অনেকের সামনেই। বাড়ির দাওয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আরও একটি শিশু। এই ঘটনায় সেও আতঙ্কিত। গ্রামবাসীরা অনেককে ভিডিয়োতে দেখা গেলেও, তাঁরা মুখে দু’-এক বার বলা ছাড়া ওই ব্যক্তিকে আটকানোর চেষ্টা করেননি কেউ। ৫২ সেকেন্ডের এমনই মন একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে রবিবার। আর তার পরেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মত্ত অবস্থায় এই কাণ্ড করেছেন ওই ব্যক্তি। পশ্চিম আগরার পুলিশ অফিসার রবি কুমার বলেন, ‘‘আমরা ওই ভিডিয়ো দেখার পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ঘটনাটা শনিবার বিকেলের দিকে ঘটেছে। শিশুটি এমন কিছু করেছিল, যাতে লোকটি অসন্তুষ্ট ছিলেন।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘দিন তিনেক আগেও স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোনের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। ওঁর তিনটি ছেলেমেয়ে। যাঁকে মারছিলেন, সে বড়। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে এখনও স্বীকার করেননি যে তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন।’’
আরও পড়ুন: আইসোলেশনেও আফসোস নেই, শতাধিক প্রাণ বাঁচিয়ে বলছেন মান্নান-আফজলরা
আরও পড়ুন: রাজস্থানে পাক হিন্দু শরণার্থী পরিবারে রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার ১১ দেহ
শুক্রবার রাতে প্রয়াগরাজেও প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সঞ্জয় মিশ্র নামে স্থানীয় একটি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী অশীতিপর এক বৃদ্ধাকে মারধর করেছিলেন। হাসপাতালের সামনে আশ্রয় নেওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে পিটিয়েছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক হইচই শুরু হয়। তবে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি ওই বৃদ্ধাকেও ওই হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন। যে নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে ওই হাসপাতালের চুক্তি ছিল, সেই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বার আগরার ঘটনাতেও ভিডিয়ো দেখেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।
(এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লেও তা অনেকের মধ্যেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সেই কারণেই এই খবরের সঙ্গে ওই ভিডিয়ো দেওয়া হল না।)