কৃষক আন্দোলনের দুই প্রতিবাদগীতির পোস্টার।
সরকার ও সরকারপন্থীদের ‘তফাৎ যাও’ বলেছিল কৃষকদের গান ‘এয়লান’। রবিবার সেই গান ইউটিউব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। কৃষি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কিছু ব্যবহারকারীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পরই এই পদক্ষেপ। আর এ বারও ভিডিও মুছে ফেলার নেপথ্যে কেন্দ্রের অভিযোগ। এমনকী আইনি পদক্ষেপও করা হল।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে পাঞ্জাবি গায়ক কাঁওয়ার গ্রেওয়ালের গান ‘এয়লান’ এবং জনপ্রিয় সঙ্গীতকার হিম্মত সাঁধুর গান ‘আসি বাড়েঙ্গে’ ৪ মাস আগে মুক্তি পেয়েছিল ইউটিউবে। গান দু’টি গাজিপুর, সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের কণ্ঠে শোনা গিয়েছে বারবার। প্রায় ৮০ দিন ছুঁই ছুঁই কৃষক আন্দোলনে আন্দোলনগীতি হয়ে উঠেছিল ‘এয়লান’। কারণ এ গানের ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে কৃষকদের প্রতি সরকারের নিষ্ঠুরতার কথা। গানে ‘এয়লান’ অর্থাৎ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সরকারপন্থীদের উদ্দেশে। বলা হয়েছে, ফসলের খেতে ঢুকতে যেও না। সেখানে শুধুমাত্র কৃষকদের অধিকার। ফসলের বিচারের অধিকার শুধু কৃষকদের। আর কারও না।
ইউটিউবেও গানটি দেখা হয়েছে ১ কোটিবারের বেশি। মুছে ফেলার আগে গানটির ‘ইউটিউব ভিউ’ ছিল ১.৩ কোটি। সোমবার দু’টি গানই সরিয়ে দিয়েছে ইউটিউব। তবে গানটি সরিয়ে দেওয়ার কথা শুনে এক কৃষক নেতা বলেছেন, ‘‘ওরা হয়তো ইউটিউব থেকে গানটি সরিয়ে দিতে পারবে। আমাদের মন থেকে মুছে দিতে পারবে না।’’
কিন্তু কেন মুছে ফেলা হল এই গান? কিছু দিন আগেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা বলা ২৫৭টি টুইটার অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। একটি বেসরকারি সংবাদসংস্থার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ‘কৃষকদের আন্দোলনগীতি’ নিয়ে ইউটিউবের এই পদক্ষেপের নেপথ্যেও রয়েছে কেন্দ্রেরই আপত্তি। যদিও এ বিষয়ে ইউটিউব বা কেন্দ্র কোনও তরফেরই বক্তব্য জানা যায়নি।
গানটির শিল্পী কাঁওয়ারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই মাটির সঙ্গে জুড়ে থাকা মানুষ। গান আমাদের কথা সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম। এই ঘটনা তাই আমাদের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।’’