—ছবি সংগৃহীত।
চলতি সপ্তাহে রাজ্যসভায় কাজের সময় ছিল সাড়ে ২৮ ঘণ্টা। তার মধ্যে পেগাসাস, নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে সময় নষ্ট হয়েছে মোট ২১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট। উচ্চকক্ষে বিল পাশে সময়ে গিয়েছে ৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। আর প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে আলোচনা চলেছে মাত্র ১ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। এর পরও রাজ্যসভায় কার্যকারিতার হার গত সপ্তাহের থেকে চলতি সপ্তাহ এক লাফে বাড়ল অনেকটা। মোদী সরকার বিতর্ক ছাড়াই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিল পাশ করিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে শুক্রবারই টুইট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তার পরই রাজ্যসভার সূত্র থেকে মিলল এই তথ্য।
চলতি বাদল অধিবেশনে বার বার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজকর্ম। দুই কক্ষেই অধিবেশন মুলতুবির কারণে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দেশের। এই পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহে হঠাৎই বেড়ে গেল সংসদের উচ্চকক্ষের কার্যকারিতার হার। এই সপ্তাহে মোট আটটি বিল পাশ হয়েছে রাজ্যসভায়। আর তাতেই কার্যকারিতার হার গত সপ্তাহের ১৩.৭০ শতাংশ থেকে এক লাফে বেড়ে হল ২৪.২ শতাংশ।
রাজ্যসভা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বাদল অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যসভার কার্যকারিতার হার ছিল ৩২.২০ শতাংশ। তার পরই পেগাসাস নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। অধিবেশনের এই পর্বে বেশ কিছু নজিরবিহীন ঘটনারও সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। যার জেরে প্রথম তিন সপ্তাহে রাজ্যসভায় কার্যকারিতার হার মাত্র ২২.৬০ শতাংশ।
বার বার অধিবেশন মুলতুবির ঘটনার বিরোধীদেরই নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদরা। পাল্টা সেই দায় কেন্দ্রের ঘাড়েই চাপিয়েছেন বিরোধীরা।
গতকাল ডেরেক টুইটে লেখেন, চলতি বাদল অধিবেশনে মোট ২৫টি বিল পাশ করিয়েছে সরকারপক্ষ। এর মধ্যে লোকসভায় পাশ হয়েছে ১৩টি বিল। রাজ্যসভায় ১২টি। এর মধ্যে রাজ্যসভার অধিবেশন হয়েছে আট দিন। লোকসভার মাত্র ছ’দিন। গড়ে বিল পিছু আলোচনা হয়েছে ১০ মিনিট। রাজ্যসভার ক্ষেত্রে ১৩ মিনিট এবং লোকসভায় আট মিনিট।