—প্রতীকী ছবি।
সিনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কাজের গাফিলতি নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই সহকর্মীর বুকে ছুরি চালিয়ে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক তরুণ। ঘটনাটি নাগপুরের শ্যামনগর এলাকার। মৃতের নাম এল দেবনাথন এনআর লক্ষ্মীনরসিংহন (২১)।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাগপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে ছিলেন দেবনাথন। বিগত দশ মাস এই সংস্থায় চাকরি করছেন তিনি। শ্যামনগর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন দেবনাথনের জুনিয়র সহকর্মী চান্দেল। মঙ্গলবার রাতে চান্দেলের ফ্ল্যাটে ছিলেন দেবনাথন। দেবনাথন এবং চান্দেল ছাড়াও সেই ফ্ল্যাটে ছিলেন পবন অনিল গুপ্ত ওরফে হালওয়াই নামে অন্য এক সহকর্মী। তিন জন একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন বলে অভিযুক্তের দাবি।
জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন চান্দেল পুলিশকে জানান, মদের আসরে হঠাৎ পেশাগত জীবন নিয়ে আলোচনা শুরু করেন দেবনাথন। চান্দেলের কাজে কোথায় গাফিলতি রয়েছে, কোন কোন বিভাগে তাঁর উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে চান্দেলকে উপদেশও দেন তিনি। কিন্তু কাজের গাফিলতি নিয়ে আলোচনা করায় রাগ হয়ে যায় চান্দেলের। অভিযুক্তের দাবি, হাতের কাছে ছুরি থাকায় তা দিয়েই দেবনাথনের বুকে আঘাত করেন চান্দেল। ঘটনাস্থলেই মারা যান দেবনাথন।
দেবনাথনের মৃতদেহ নিয়ে কী করবেন বুঝতে না পেরে সারা রাত ফ্ল্যাটেই দেহ নিয়ে থেকে যান চান্দেল এবং পবন। বুধবার সকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দেবনাথনের দেহ নিয়ে যান তাঁরা। বাথরুমে পড়ে গিয়ে দেবনাথন আঘাত পেয়েছেন বলে হাসপাতালে দাবি করেন তাঁরা। সন্দেহ জাগলে পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। দেবনাথনের ভাই চান্দেল এবং পবনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে গিয়ে চান্দেলকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। প্রথমে অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের কাছে সব সত্যি স্বীকার করে নেন তিনি।