আবার জাত গণনার দাবি নীতীশ কুমারের। ফাইল চিত্র।
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট সিলমোহর দেওয়ার পরেই দেশ জুড়ে জাত ভিত্তিক জনগণনার দাবি তুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। লোকসভা ভোটের আগে অনগ্রসর ভোটের লক্ষ্যে জেডি(ইউ) সভাপতি নীতীশ এবং তাঁর সহযোগী আরজেডির নেতা লালুপ্রসাদ জাত ভিত্তিক গণনার দাবিতে আরও সুর চড়াবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
সুপ্রিম কোর্ট সোমবারের রায়ে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে জানিয়েছে, অসংরক্ষিত জাতিভুক্ত গরিবদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনে সংরক্ষণে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমাও ভাঙা যেতে পারে। শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই নীতীশ-লালুরা ওবিসি সংরক্ষণের কোটা বাড়াতে সচেষ্ট হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওবিসিদের জন্য এখন ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু অনেকেরই ধারণা, ওবিসিদের আসল সংখ্যা জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই নীতীশ-লালুরা তাদের মূল ভোটব্যাঙ্ক ওবিসিদের কোটা বাড়াতে জাত ভিত্তিক গণনার দাবি তুলেছেন কিছু দিন আগে থেকেই। লালুর ছেলে তেজস্বী বিহারে মহাগঠবন্ধন সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ঠিক আগেই জাতপাত ভিত্তিক গণনার দাবিতে দিল্লিতে জনসভাও করেছিলেন।
অন্য দিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন মঙ্গলবর আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকাদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাবেন।