ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডল বন্ধ করতে নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কর্নাটক হাই কোর্ট। সোমবার বেঙ্গালুরুর একটি আদালত কপিরাইট আইন ভাঙার অভিযোগে কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডল সাময়িক ভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সোমবার সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেও কর্নাটক হাই কোর্ট যাবতীয় কপিরাইট সংক্রান্ত পোস্ট কংগ্রেসের টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব-সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে সরাতে বলেছে।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা ‘কেজিএফ-টু’র একটি গান বিনা অনুমতিতে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কন্নড় এই সিনেমার একটি গানকে কংগ্রেস তাদের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচিতে ব্যবহার করেছে বলে ওই সিনেমার সঙ্গীত নির্মাতা সংস্থা এমআরটি মিউজিক অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তার জেরে বেঙ্গালুরুর একটি আদালত সোমবার কংগ্রেসের পাশাপাশি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র টুইটার হ্যান্ডলটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার কর্নাটক হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের পর কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা সামাজিক মাধ্যমে কংগ্রেস এবং ভারত জোড়ো যাত্রায় বেঙ্গালুরুর আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে জেনেছিলাম। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত ছিলাম না। আদালতের শুনানিতে হাজির হতে পারিনি। নির্দেশের কোনও প্রতিলিপিও পাইনি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আইনের পথ অনুসরণ করা হবে।’’
মূলত তিন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। তাঁদের মধ্যে রাহুল গান্ধীর নামও আছে। অভিযোগকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, অক্টোবর মাসে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ যখন কর্নাটক হয়ে তেলঙ্গানার উদ্দেশে যাচ্ছিল, তখন গানটি ব্যবহার করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে এমআরটি মিউজিকের তরফে বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বিনা অনুমতিতে কেজিএফ-টু সিনেমার গান ব্যবহার করে দু’টি ভিডিয়ো টুইট করেছেন।