শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর বাদল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। ফাইল চিত্র।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর পর এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে সহযোগিতার বার্তা দিল বিজেপির প্রাক্তন সহযোগী শিরোমণি অকালি দল। রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অকালি দলের প্রধান তথা পঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদল। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসও মোদীর ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদে বুধবার পর্যন্ত ১৯টি বিরোধী দল মোদীর ওই কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আম আদমি পার্টি (আপ), কংগ্রেস, আরজেডি, জেডিইউ, এনসিপির পাশাপাশি বামেরাও রয়েছে সেই তালিকায়। কিন্তু পূর্ব ভারতের ওড়িশার ক্ষমতাসীন দল বিজেডির পরে উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের দুই প্রভাবশালী আঞ্চলিক দলের এই পদক্ষেপের জেরে বিরোধী ঐক্যের চেষ্টা ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লির ক্ষমতা দখলের অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল ইতিমধ্যেই রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে বিরোধীদের জোটবদ্ধ করার কাজ শুরু করেছেন। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ থেকেই তাঁর সেই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বস্তুত, কেজরীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল মোদীর সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কটের কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিজেডি, অকালি দল, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের পদক্ষেপে সেই উদ্যোগ ধাক্কা খেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
লোকসভা ভোটের আগে সুখবীরের এই পদক্ষেপ আবার এনডিএতে ফেরার বার্তা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশক থেকে বিজেপির সহযোগী অকালি দলের প্রয়াত সভাপতি প্রকাশ সিংহ বাদল ২০২০ সালে মোদীর সরকারের বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় এনডিএ ছেড়েছিলেন। চলতি বছরে পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটেও দু’দল আলাদা ভাবে লড়েছিল। যদিও এক দশক আগে কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গড়া ইস্তক জগন্মোহন কখনওই বিজেপির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে হাঁটেননি।