বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ জিগ্নেশের। ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী ও গডসেকে নিয়ে করা টুইটের জেরে গুজরাতের বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণীকে গুজরাত গ্রেফতার করে অসমে আনা হয়েছিল। জামিন পেয়ে গুজরাত ফেরার আগে ফের প্রধানমন্ত্রীকেই নিশানা করলেন জিগ্নেশ। হিমন্তবিশ্ব শর্মা সরকারের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “নরেন্দ্র মোদীর ইশারায় নাচবেন না। এক দিন তিনি আপনাদেরও নিয়ে ডুববেন।”
আজ গুজরাতে ফেরার আগে গুয়াহাটি বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন জিগ্নেশ ও প্রদেশ কংেগ্রেস নেতারা। সেখানে জিগ্নেশ বলেন, “আজও বলছি আমার ওই টুইট বিধায়ক হিসেবে একেবারে দায়িত্বশীল ছিল। আমি লিখেছিলাম, গুজরাতের মানুষ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এসে সংঘর্ষস্থলে শান্তির আহ্বান জানান। কিন্তু সেই আহ্বান তিনি জানাননি। কারণ তিনি শান্তি নয়, হিংসা ও ঘৃণার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। বিজেপিকে জানাতে চাই, আমার সাহস ও স্পর্ধাকে শেষ করতে পারবেন না। দরকার হলে আরও এফআইআর করুন। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকব।”
বরপেটায় জিগ্নেশের বিরুদ্ধে মহিলা পুলিশ অফিসারের শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যে মামলা ভুয়ো বলে মন্তব্য করেছে আদালত। তাঁর কথায়, “দ্বিতীয় মামলাটি আরও দুর্ভাগ্যজনক। আমায় ফাঁসাতে চাইলে অন্য যে কোনও মামলা সাজাতে পারত। কিন্তু এই ভাবে মহিলা সহকর্মীকে এগিয়ে দিয়ে ভিন রাজ্যের বিধায়কের বিরুদ্ধে যে ভাবে শ্লীলতাহানির ঝুটো মামলা সাজাল পুলিশ- তা কাপুরুষোচিত কাজ। আদালতের রায়েই সব স্পষ্ট। সেখানে বলা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমায় আটকে রাখার জন্যেই এই এফআইআর করা হয়েছে।” মেবাণীর জামিনের রায়ে, অসমে পুলিশের গুলিতে নিত্য দিন অভিযুক্তদের হত্যা ও জখম হওয়ার প্রসঙ্গও টানে আদালত। জিগ্নেশ বলেন, “আদালতও বলতে বাধ্য হয়েছে, যে অসম পুলিশ রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে। এখানে আইনের শাসন, গণতন্ত্র বিপন্ন। আমার মাধ্যমে আসলে সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা মানুষদের সমঝে দিতে চেয়েছিল বিজেপি। আমার জামিন হয়েছে, চলে যাব। কিন্তু অসমের জনতা, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিকদের কী হবে?”
যাওয়ার আগে জিগ্নেশ বলে গেলেন, “অসমের বহুমুখী বৈচিত্রকে সেলাম করি। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার লড়াইয়ে সকলকে হাত মেলাতে হবে। মনে রাখবেন, এটা হিমন্তবিশ্ব শর্মার অসম নয়, মহাপুরুষ শঙ্করদেবের অসম।”