রাম মাধব। —ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আরএসএস সংগঠন থেকে বিজেপির রাজনীতিতে পদার্পণ হয়েছিল তাঁর। আবার মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় মেয়াদের গোড়াতেই নীরবে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছিলেন। প্রায় পাঁচ বছর পরে আবার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন হল রাম মাধবের।
জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতার নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির পাশাপাশি রয়েছেন মাধবও। বস্তুত, তিনিই ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী নির্বাচন এবং প্রচার কৌশল নির্ধারণের মূল দায়িত্বে বলে দলের একটি সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে, ২০১৪ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে জম্মু ও কাশ্মীরে দলীয় সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
দক্ষ সাংগঠনিক নেতা হিসাবে পরিচিত মাধব বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিরোধীদের নিশানা হয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের তোলা একনায়কতন্ত্রের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘‘হিটলার, মুসোলিনিও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছিলেন।’’ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিহতদের সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা এমন কিছু ধোয়া তুলসী পাতা নন।’’ সেই সঙ্গে বিরোধী নেতাদের মস্তিষ্ককে ‘ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি’ বলে কটাক্ষ করে মাধবের মন্তব্য ছিল, ‘‘ওখানে জ্ঞান-বুদ্ধি প্রবেশ করে না।’’