গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর-কাণ্ডের নির্যাতিতা এবং নিহত চিকিৎসকের ছবি এবং নাম-পরিচয় সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার ঘটনা নিয়ে এ বার তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমস্ত সমাজমাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম) এবং বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম থেকে নিহতের নাম, ফোটোগ্রাফ এবং ভিডিয়ো ক্লিপিংস-সহ সমস্ত ‘পরিচয়চিহ্ন’ দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, ‘‘নির্যাতিতার নাম বা ছবি প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। এই ধরনের সংবেদনশীল তথ্য যাতে কোনও ভাবেই প্রকাশ্যে না থাকে সমাজমাধ্যম পরিচালন সংস্থাগুলিকে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ এবং বিধিনিষেধ জারি হতে পারে।’’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এই বিজ্ঞপ্তি বলেও জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক দশক আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, কোনও অবস্থাতেই নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা যাবে না। তা উপেক্ষা করে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো নানা সমাজমাধ্যমে আরজি করের ধর্ষিতা ও নিহত চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যার জেরে পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশও। এমনকি, নির্যাতিতার নাম ফাঁসের অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার ডেকে পাঠানো হয় লালবাজারে।