Supreme Court

বন্ডের ত্রুটি শোধরাতে পরামর্শ আদালতের

উত্তরে তুষার বলেন, সবটা প্রকাশ্যে এনে দিলে অনুদানদাতার গোপনীয়তা নষ্ট হবে, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৬
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

নির্বাচনী বন্ডের বর্তমান ব্যবস্থায় ‘বড়সড় গলদ’ আছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আর্থিক অনুদানের উৎস সম্পর্কে ভোটারের কিছুই জানার অধিকার থাকতে পারে না এমন দাবি ‘মেনে নেওয়া একটু কঠিন’ বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির তৃতীয় দিনে রায়দান স্থগিত রেখেও পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, ২০২৩-এর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন দল কী অনুদান পেয়েছে, তার বিশদ নথি দু’সপ্তাহের মধ্যে মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

Advertisement

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের এই বেঞ্চে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে জানান, বর্তমান ব্যবস্থায় অনুদানদাতা এবং অনুদানপ্রাপ্ত দল উভয়েই জানে দেওয়া-নেওয়ার কথা। বিচারপতি খন্না তখন মন্তব্য করেন, ‘‘শুধু ভোটারই জানেন না! এটা মেনে নেওয়া একটু কঠিন! সবটা খুলে দিচ্ছেন না কেন?’’

উত্তরে তুষার বলেন, সবটা প্রকাশ্যে এনে দিলে অনুদানদাতার গোপনীয়তা নষ্ট হবে, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তুষার যোগ করেন, ‘‘আর নইলে পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হয়। তাতে নগদ টাকা ঢুকবে, কালো টাকা প্রশ্রয় পাবে।’’ এর উত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এক বারও সে কথা বলছি না আমরা। এটা নয় ওটা—এমন বলে কিছু হয় না। অন্য একটা ব্যবস্থা তৈরি করে গলদ দূর করার কথা ভাবুন।’’ এবং সেই বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মোট পাঁচটি বিষয়ে জোর দিতে বলেন তিনি— ১. নির্বাচনী ব্যবস্থায় নগদের পরিমাণ কমাতে হবে, ২. স্বীকৃত ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে হবে, ৩. ব্যাঙ্কিং চ্যানেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে উৎসাহভাতার ব্যবস্থা রাখতে হবে ৪. স্বচ্ছতায় জোর দিতে হবে এবং ৫. শাসক দলকে অনুদান জোগানোর বিনিময়ে সুবিধা আদায়ের পথ যাতে মান্যতা না পায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।

Advertisement

শীর্ষ আদালত এ ভাবেই আজ তাদের ভাবনার কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু তার রূপায়ণের দায়িত্ব আইনসভার উপরেই ছেড়েছে। প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘‘কী ভাবে করবেন, সে সিদ্ধান্ত আপনাদের।’’

তুষার এর পরে বলেন, সমস্ত কর্পোরেট সংস্থা কেবল সুবিধা আদায়ের তাগিদে অনুদান দেয়, এটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। প্রধান বিচারপতিও এ বিষয়ে সহমত হন। ‘‘কিন্তু ভোটারদের জানার অধিকার কোথায় গেল’’, প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি গাভাই। তুষার তার উত্তরে দাবি করেন, কোন দল কার থেকে অনুদান পেয়েছে, সেটা ভেবে ভোটার ভোট দেন না। পাল্টা সওয়ালে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, গোপনীয়তার অধিকার ব্যক্তির অধিকার। সেটা সংস্থার উপরে বর্তায় না, আর গোপনীয়তার অধিকার তথ্যের অধিকারকে অতিক্রম করতেও পারে না। সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement