—প্রতীকী ছবি।
পরিবেশ মন্ত্রকের আপত্তির কথা শোনা গিয়েছিল। তা-ও মধ্যপ্রদেশের গভীর জঙ্গলের ভিতরে কয়লা সমৃদ্ধ খনি অঞ্চল নিলামের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল মাসখানেক আগে। তখনই অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পিছনে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির একটি সংগঠনের হাত রয়েছে। যার সদস্যদের মধ্যে উপরে দিকে নাম রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। সম্প্রতি জানা গেল, নিলামে সেই খনি অঞ্চলের বরাত পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তারা অবশ্য ‘প্রভাব খাটানোর’ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত বছর অক্টোবর মাসেই শোনা যায়, পরিবেশ মন্ত্রকের আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না শুনে মধ্যপ্রদেশের মারা ২ মহান কয়লা ব্লক খনি তৈরির জন্য বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চাইছে কয়লা মন্ত্রক। এর পিছনে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির যে সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব পাওয়ার প্রোডিউসারস’ (এপিপি)-এর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল, তার অন্যতম ‘কুশীলব’ আদানি। এই সংগঠনের দাবি ছিল, কয়লার অভাব কাটাতে মধ্যপ্রদেশের ওই কয়লা অধ্যুষিত অঞ্চলে তারা খনি তৈরি করতে চাইছে। যদিও সংবাদমাধ্যমের একটি সূত্র দাবি করেছিল, আদানিকে ওই অঞ্চলে খনি পাইয়ে দিতেই বিদ্যুৎ-সংগঠনটি চাপ দিয়েছিল সরকারের উপর। গত ১২ মার্চ নিলামে আদানি গ্রুপের সংস্থা ‘মহান ইনারজেন লিমিটেড’ ‘মারা ২ মহান কয়লা ব্লক’-এর বরাত পায়। আনুমানিক ৯৯ কোটি ৫০ লক্ষ টন কয়লা রয়েছে ওই অঞ্চলে। নিলামে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘মহান ইনারজেন লিমিটেড’ তাদের আয়ের ৬ শতাংশ সরকারকে দেবে। লক্ষ্যণীয়, সম্প্রতি যে যে নিলাম হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর এই সংস্থার থেকেই সবচেয়ে কম অর্থ নিচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে আদানি গোষ্ঠীর মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘অ্যাসোসিয়েশন অব পাওয়ার প্রোডিউসারস (এপিপি)-এর সদস্যদের ভূমিকার যে ব্যাখ্যা আপনারা করছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই। তা যথাযথও নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এপিপি-র ২৫টির বেশি সদস্য সংস্থা রয়েছে। জ্বালানি-উৎসের বণ্টন প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সদস্যদের কোনও ভূমিকা নেই। অতএব, নির্দিষ্ট কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এপিপি-র মতো সংগঠন নির্দিষ্ট ওই কয়লা ব্লকটিকে নিলামে তোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই।’’ সংবাদ সংস্থা