তিন বছরে ১২ হাজার চাষি আত্মঘাতী মহারাষ্ট্রে

মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী সুভাষ দেশমুখ একটি লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মোট ১২ হাজার ২১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

Advertisement

 সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৯ ০৪:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ করেন, কৃষক মৃত্যু নিয়ে উদাসীন নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এ বার প্রকাশ্যে এল বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে কৃষকদের চরম দুরবস্থার ছবি। গত তিন বছরে শুধু ওই রাজ্যে আত্মঘাতী হয়েছেন ১২ হাজারের বেশি কৃষক। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আজ ওই তথ্য জানিয়েছে বিজেপি-শিবসেনার জোট সরকার।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী সুভাষ দেশমুখ একটি লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মোট ১২ হাজার ২১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। মন্ত্রীর বক্তব্য, জেলা কমিটি স্তরে পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, আত্মঘাতী চাষিদের মধ্যে ৬,৮৮৮ জন সরকারি ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন।

চলতি বছররে শুরুটাও মহারাষ্ট্রের কৃষকদের পক্ষে একেবারেই আশাজনক নয়। এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৬১০ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অন্তত ১৯২ জন সরকারি সাহায্য পেতে পারতেন। দেশমুখ জানিয়েছেন, এঁদের মধ্যে ১৮২ জনের পরিবারকে সরকার আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছে। বাকিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

Advertisement

দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আত্মঘাতী কৃষকদের জমির মালিকানা তাঁদের স্ত্রীদের হস্তান্তর করা হবে। ওই পরিবারগুলি যেন অনটনের মধ্যে না পড়ে তাই ওই সিদ্ধান্ত। রাজ্যের রাজস্ব ও বন দফতর গত মঙ্গলবার এ নিয়ে সরকারি প্রস্তাব পেশ করেছে। মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশন কিছু দিন আগে একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, মৃত কৃষকদের স্ত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারের বাকি সদস্যেরা বাধা দেন। সে জন্য চাষের জমি সরাসরি স্ত্রীয়ের নামে করলে পরবর্তী সময়ে সম্পত্তি বা ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত লেনদেনে সুবিধা হবে বলে মনে করছে সরকার। আত্মঘাতী কৃষকদের মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে বা সন্তানদের পড়াশোনাতেও সরকার আর্থিক সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement