Swati Maliwal Case

‘স্বাতীকাণ্ডে কেজরীর বাবা, মাকে পুলিশ হেনস্থা করছে’! আপের অভিযোগে মুলতুবি বয়ান রেকর্ড?

দিল্লি পুলিশ বার্তা দিয়েছিল, আপের রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতীকে ‘নিগ্রহকাণ্ডে’ কেজরীর বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হবে বৃহস্পতিবার। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া মুলতুবি রাখা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ১৫:০৯
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

স্বাতী মালিওয়াল ‘নিগ্রহকাণ্ডে’ দিল্লি পুলিশ আম আদামি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাবা এবং মাকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার কেজরী মন্ত্রিসভার সদস্যা অতিশী ওই অভিযোগ তোলার পরেই অবশ্য দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে,স্বাতীকাণ্ডে কেজরীর বাবা-মাকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।

Advertisement

দিল্লি পুলিশ বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছিল, আপের রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতীকে ‘নিগ্রহকাণ্ডে’ কেজরীর বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হবে বৃহস্পতিবার। তার পরেই কেজরী এক্স পোস্টে লেখেন, ‘‘আগামিকাল দিল্লি পুলিশ বাড়িতে এসে আমার বৃদ্ধ এবং অসুস্থ বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।’’ বৃহস্পতিবার সকালে কেজরীর বাড়িতে যান আপের প্রথম সারির নেতারা। তার পরেই দলের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাবা-মাকে নিগ্রহের অভিযোগ তোলা হয়।

স্বাতীর দাবি, গত ১৩ মে কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেন কেজরীর ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমার। আপ সাংসদের দাবি, বৈভব তাঁকে ৭-৮টি চড় এবং পেটে লাথি মারেন। ১৬ মে দিল্লি পুলিশের কাছে বৈভবের এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী। সে রাতেই স্বাতীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছিল দিল্লির এমসে। ১৭ মে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে স্বাতী নিজের বয়ান নথিভুক্ত করেন।

Advertisement

স্বাতীর অভিযোগ এবং এমসের মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৮ মে পুলিশ বৈভবকে গ্রেফতার করে। মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টে স্বাতীর ডান গাল এবং বাঁ পায়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে দিল্লি পুলিশের দাবি। জখম রয়েছে চোখের তলাতেও। যা থেকে তাঁর তোলা শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ বলেই তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন। দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্বাতী-বর্ণিত নিগ্রহকাণ্ডের সময় কেজরীর বাসভবনে তাঁর বাবা, মা উপস্থিত ছিলেন। তাই তদন্তের স্বার্থেই তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা প্রয়োজন।

স্বাতী পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেই গোটা ঘটনা নিয়ে ‘রাজনৈতিক টানাপড়েন’ শুরু হয়। স্বাতী ‘নিগ্রহকাণ্ড’ কার্যত নতুন মোড় নেয়। ঘটনায় দলের পুরনো অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ১৭ মে বিকেলে দিল্লির আপ মন্ত্রী অতিশী দাবি করেন, স্বাতী বিজেপির এজেন্ট হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে ফাঁসাতে গিয়েছিলেন। কেজরী সে দিন বাসভবনে না থাকায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৈভবকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন অতিশী। অথচ গত ১৪ মে আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ বিবৃতি দিয়ে বৈভবের হাতে স্বাতীর হেনস্থা হওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement