আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। — ফাইল চিত্র।
দিল্লি আদালতে স্বস্তি পেলেন আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। আবগারি মামলায় নয়, অন্য এক মামলায় ইডির নজরে ছিলেন তিনি। দিল্লির ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগের মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে বার বার তলব করা হয় আমানাতুল্লাকে। কিন্তু প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মামলায় আপ বিধায়ককে জামিন দিল আদালত।
ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগ মামলায় দিল্লির ওখলা কেন্দ্রের সাংসদ আমানাতুল্লা-সহ মোট চার জনের নামে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। বাকি তিন জনই বিধায়কের সহযোগী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বার সমন পাঠালেও আমানাতুল্লা হাজির হননি বলে দাবি করে ইডি। গত ২৩ জানুয়ারি, ৩১ জানুয়ারি, ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ৪ মার্চ— মোট ছ’বার তলব করা হয়েছিল ওই আপ বিধায়ককে। কিন্তু প্রতি বারই সমন এড়ান তিনি। তার পর ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি।
ইডি আদালতে জানায়, এই মামলায় সাক্ষী হিসাবেই আপ বিধায়ককে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এক বারও আদালতে হাজিরা দেননি। তদন্ত থেকে এ ভাবে পালিয়ে যাওয়ার কারণেই এই মামলায় তিনি এখন অন্যতম অভিযুক্ত। ইডির পক্ষে আদালতে সওয়াল করেছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (এসএসপি) সাইমন বেঞ্জামিন। তিনি জানান, আমানাতুল্লা সহযোগিতা না করায় তদন্ত শেষ করা যায়নি।
এই মামলায় আমানাতুল্লাকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শনিবার সেই মামলার শুনানিতে আদালতে আসেন তিনি। সওয়াল-জবাবের পর ১৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে আপ বিধায়কের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
২০১৬ সালে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, অস্তিত্বই নেই এমন কিছু পদে বেশ কয়েক জনকে নিয়োগ করেছিলেন দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারপার্সন আমানাতুল্লা। এর ফলে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয় এবং ওই বিধায়ক আর্থিক ভাবে লাভবান হন বলে দাবি করে সিবিআই। পরে এই মামলায় আর্থিক অসঙ্গতির দিকটি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে ইডি।