Arvind Kejriwal

বৈঠকে বসছে আম আদমি পার্টির পরিষদীয় দল, কে হবেন কেজরীর উত্তরসূরি? বেলা ১২টায় জানাবে আপ

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম জড়ায় কেজরীওয়ালের। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় ছয় মাস তিহাড় জেলেই ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলমুক্তি ঘটে তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৩১
Share:

বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল। কিন্তু কে তাঁর জায়গা নেবেন, তা নিয়ে এখনও জল্পনার শেষ নেই। এ নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বৈঠক ডেকেছে আপ। বেলা ১২টা নাগাদ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাঁর নাম আপাত ভাবে চূড়ান্ত করতে সোমবারও নিজের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন আপের শীর্ষ নেতৃত্ব। ছিলেন মণীশ সিসৌদিয়া, রাঘব চড্ডা-সহ দলের প্রথম সারির নেতারা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ফের পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকেই ঠিক করা হবে, কে হবেন কেজরীওয়ালের উত্তরসূরি। এর পর বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন কেজরী।

তবে কে নেবেন কেজরীর স্থান? আপ সূত্রের খবর, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চর্চায় রয়েছে অতিশী মারলেনা, সৌরভ ভরদ্বাজ, প্রবীণ নেতা গোপাল রাই এবং কৈলাস গহলৌতের মতো নেতাদের নাম। দলের দলিত নেত্রী তথা দিল্লি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার রাখী বিড়লাও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বীদের তালিকায়। কেউ কেউ নাম নিচ্ছেন কেজরীর স্ত্রী সুনীতারও।

Advertisement

প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম জড়ায় কেজরীওয়ালের। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় ছ’মাস তিহাড় জেলেই ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলমুক্তি ঘটে তাঁর। এর পর রবিবার দুপুরেই দলীয় এক সম্মেলনে আপ প্রধান কেজরীওয়াল বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যত দিন না জনতা জনার্দনের রায় পাচ্ছি, তত দিন এই আসনে আর ফিরব না।” কেজরীর ঘোষণার পরেই অবশ্য বিজেপি শিবির থেকে কটাক্ষ ভেসে আসতে থাকে। ইস্তফা দিতে কেন তিনি দু’দিন সময় নিচ্ছেন, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য, যে দিন আবগারি দুর্নীতির কারণে গ্রেফতার হয়েছিলেন, সে দিনেই নৈতিক কারণে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল কেজরীওয়ালের। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়ার ১৭৭ দিন পরে অবশেষে আপ প্রধানের ‘নৈতিকতা’ জেগে উঠেছে!’ আপ প্রধানের সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক নাটক’ বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement