—ফাইল চিত্র।
বিজেপির বিরুদ্ধে আম আদমি পার্টি (আপ) এবং কংগ্রেস হাত মিলিয়েছিল চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে। আজ সেই ভোট হওয়ার কথা থাকলেও আচমকাই তা স্থগিত হয়ে গেল। প্রিসাইডিং অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেয়র নির্বাচন আজকের বদলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি হবে বলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ডেপুটি কমিশনার বিনয়প্রতাপ সিংহ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন। আপ-কংগ্রেসের বক্তব্য, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ছলাকলার আশ্রয় নিয়ে ভোট পিছিয়েছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’-র লড়াই হিসেবেই চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনকে তুলে ধরেছিলেন বিরোধীরা। মেয়র পদে লড়ছে আপ। ডেপুটি মেয়র এবং সিনিয়র ডেপুটি মেয়র পদে আপের সমর্থনে লড়ছেন কংগ্রেসের প্রার্থী। গোপন ব্যালটে আজ পুরসভার অ্যাসেম্বলি হলে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। একাধিক কাউন্সিলর জানিয়েছেন, ভোটের আগে হঠাৎ নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি মেসেজ করে তাঁদের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পুরসভায় আসতে বারণ করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ভোট পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অনিল মসীহ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে টেলিফোনে খবর এসেছে। ডেপুটি কমিশনারের জারি করা নির্দেশেও বলা হয়েছে, ‘মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সম্পর্কে এসএসপি-র রিপোর্ট এবং অনিল মসীহের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে মেডিক্যাল সুপারের রিপোর্ট— এই দুইয়ের ভিত্তিতে এই নির্দেশ জারি করা হল।’
আপ এবং কংগ্রেস, দুই দলই প্রিসাইডিং অফিসারের অসুস্থতার খবরকে সত্যি বলে মানতে চায়নি। কংগ্রেস নেতা পবন বনশল বলেন, ‘‘আমার কাছে নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে যে, শুধুমাত্র ভোট পিছোনোর উদ্দেশ্যেই বিজেপি প্রিসাইডিং অফিসারকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’’ আপ সাংসদ রাঘব চড্ডার দাবি, মোট ৩৬টি ভোটের মধ্যে ২০টি পেত ‘ইন্ডিয়া’-ই। তিনি বলেন, ‘‘এক জন প্রিসাইডিং অফিসার অসুস্থ হলে ভোট করানোর জন্য আর এক জনকে সেই দায়িত্ব দেওয়াই যেত। বৈধ পাস থাকা সত্ত্বেও আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি পুরসভায়। আসলে উনি অসুস্থ নন। গণতন্ত্র খর্ব করতে ও অবাধ নির্বাচন পণ্ড করতে বিজেপি কতটা নীচে নামতে পারে, এ হল তার উদাহরণ।’’ তাৎপর্যপূর্ণ হল, আপ-কংগ্রেস হাত মেলানোর পরে ঘোড়া-কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। বিরোধী শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, ঘর গোছানোর জন্যই সময় কিনতে চাইছে বিজেপি।
মেয়র পদে বিরোধীদের প্রার্থী আপ কাউন্সিলর কুলদীপ কুমার আজই পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নতুন প্রিসাইডিং অফিসারের তত্ত্বাবধানে অবিলম্বে ভোট করানোর আর্জি জানিয়েছেন। কোর্ট যদিও তেমন কোনও নির্দেশ না দিয়ে ২৩ জানুয়ারি মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে। ফেব্রুয়ারির ভোটে অনিলের বদলে অন্য কাউকে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেননি ডেপুটি কমিশনারও।