—ফাইল চিত্র।
বুধবার ভারতের সভাপতিত্বে বসছে জি২০-র দেশগুলির ভিডিয়ো বৈঠক। চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, তাতে যোগ দেবেন না প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব করবেন চিনের প্রধানমন্ত্রী। এখনও নিশ্চিত নয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উপস্থিতি। কিন্তু তাতে দমছে না মোদী সরকার।
আজ জি২০-র শেরপা অমিতাভ কান্থ বলেছেন, “মুখোমুখি বৈঠকের কয়েকমাসের মধ্যেই আরও একটি ভিডিয়ো বৈঠক জি২০-র পক্ষে এক দুর্লভ ঘটনা। অন্য কোনও রাষ্ট্র, সভাপতি হিসেবে এমনটা করেনি।” তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বছরে দু’টি বৃহৎ সম্মেলন করেছেন ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ-এর। এছাড়া, জি২০-র একের পর এক বৈঠক হয়েছে। ভারতের জন্যই জি২০-র সদস্য হয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বদানের ক্ষমতা সবাই বুঝে গিয়েছেন। বিশ্বের সব বড় নেতাকে একজোট করা গিয়েছে এই সম্মেলনগুলিতে।”
বিশ্বের ‘নেতৃত্ব’ দিচ্ছেন মোদী কিন্তু আগামিকালের বৈঠকে ট্রুডো, জো বাইডেন কিংবা ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতি সম্পর্কে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রার মন্তব্য, “আমরা আশা করছি বিশাল সংখ্যক রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতি। তবে কারা থাকবেন, তা বৈঠকের পরই বলা হবে।” ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে আগামিকালের বৈঠক। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্বোধনী বক্তৃতার পর আর কোনও বক্তৃতার সম্প্রচার করা হবে না। কিন্তু এই নিয়েও সাবধানী কোয়াত্রা এবং কান্থের বক্তব্য, কী আলোচনা হবে তা আগে থেকে বলা ঠিক নয়। তবে জি২০ মূলত উন্নয়নকেই কেন্দ্রে রেখে এগোয়। সেই উন্নয়ন কোনওভাবে বাধপ্রাপ্ত হলে তা নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকে।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এই সম্মেলনটি নিয়ে খুবই সাবধানে কথা বলছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। কারণ, সেপ্টেম্বরের গোড়ায় মোদী যখন ভিডিয়ো মাধ্যমে ফের জি২০ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখন হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধের পরিস্থিতি ছিল না। কানাডার সঙ্গে ভারতের সংঘাতও সে ভাবে শুরু হয়নি। আগামিকালের ভিডিয়ো বৈঠকের পর কোনও যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে কি না, তার জবাবও আজ এড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় নেতৃত্বকে। কান্থের বক্তব্য, সেপ্টেম্বরে জি২০-র পর যে সব সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্যই প্রধানমন্ত্রী ভিডিয়ো মাধ্যমে রাষ্ট্রনেতাদের মত আদানপ্রদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।