Police Constable Suicide

‘তাঁরা চেয়েছিলেন আমি যেন মরে যাই’, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী বেঙ্গালুরুর পুলিশকর্মী

স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন বেঙ্গালুরুর এক পুলিশকর্মী। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৃতের মা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪৯
Share:

বেঙ্গালুরুতে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী পুলিশকর্মী। — প্রতীকী চিত্র।

বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এই বিতর্কের আবহে আত্মঘাতী হলেন বেঙ্গালুরুর এক পুলিশকর্মী। রেললাইন থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মৃত পুলিশকর্মীর নাম তিপ্পান্না আলুগুল। অতুলের মৃত্যু বিতর্কের সঙ্গে এই পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কিছু মিল রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ঠিক যেমন দেখা গিয়েছে অতুলের মৃত্যু বিতর্কেও।

Advertisement

বছর তেত্রিশের ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি বিজয়পুরা জেলায়। হুলিমাভু থানায় হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের উপর থেকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, হীলালিজ় এবং কারমেলরম স্টেশনের মাঝে একটি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ পথচলতি মানুষ তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। পাওয়া যায় এক পাতার একটি সুইসাই়ড নোটও। তাতে স্ত্রী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবারের একটি ফোনকলের কথাও উল্লেখ রয়েছে সুইসাইড নোটে। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মরে যেতে বলেছিলেন, এমন অভিযোগও উঠে এসেছে সেখানে। কী কারণে ওই পুলিশকর্মী আত্মঘাতী হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বছর তিনেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সুইসাইড নোটে কোন ধরনের হেনস্থা বা হুমকির কথা তিনি বলতে চেয়েছেন, সেটি ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ওই কথা কাটাকাটির পরে পুলিশকর্মীকে ফোন করেছিলেন তাঁর শ্বশুর। অভিযোগ, সেই সময়ে তিনি ফোনে পুলিশকর্মীকে হুমকি দিয়েছিলেন। এর পরেই শুক্রবার রাতে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ওই ঘটনার পর পুলিশকর্মীর মা থানায় অভিযোগ জানান সন্তানের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে বয়ান সংগ্রহের জন্য অভিযুক্তদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement