Diamond Harbour

বিস্ফোরণে মৃত্যু ডায়মন্ড হারবারের কিশোরের, বাজির সরঞ্জাম থেকেই কি দুর্ঘটনা? তদন্তে পুলিশ

ডায়মন্ড হারবারে বাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক কিশোরের। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ওই বাড়িতে বাজি তৈরি করা হত। তা থেকেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৫৫
Share:

রবিবার সন্ধ্যায় ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকায় এই বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। —নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক কিশোরের। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের বারদ্রোণ গ্রামে। মৃত কিশোরের নাম রিজু পাইক (১৪)। সৌমিত্র হালদার এবং তন্ময় পুরকায়স্ত নামে আরও দু’জন এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই বাড়িতে বাজি তৈরি করা হত। বাজি তৈরির জন্য বারুদ এবং অন্য উপকরণও বাড়িতে ছিল বলে দাবি এলাকাবাসীদের। তা থেকেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান এলাকাবাসীদের। বিস্ফোরণের পর সেখানে বাজি তৈরির কিছু সরঞ্জামও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ির ভিতরে একটি জোরালো শব্দ শুনতে পান গ্রামবাসীরা। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর খবর দেওয়া হয় দমকলেও। দমকলের একটি ইঞ্জিন দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ছড়িয়েছে চাপা উত্তেজনাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যে পুলিশের একটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। বিস্ফোরণ এবং আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই বাড়িতে বাজি তৈরি করা হত। সেখান থেকেই কোনও কারণে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় পর্যন্ত পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement