Bengaluru Techie

অতুলের লেখা ২৪ পাতার সুইসাইড নোট ‘উধাও’! গুগ্‌ল ড্রাইভে নেই চিঠিও, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ

আত্মহত্যার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখেছিলেন অতুল। গুগ্‌ল ড্রাইভে সেটি রাখা ছিল। ওই ড্রাইভ থেকে যে কেউ এত দিন সুইসাইড নোটটি দেখতে পেতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৩
Share:

অতুল সুভাষ। — ফাইল চিত্র।

বেঙ্গালুরুর আত্মঘাতী প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের লেখা সেই ২৪ পাতার সুইসাইড নোট ‘উধাও’! মিলছে না দেশের বিচারব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে তাঁর লেখা একটি চিঠি, যার শিরোনাম ছিল ‘টু মিলর্ডস’। গুগ্‌ল ড্রাইভে শেয়ার করা ছিল সেগুলি। অভিযোগ, সেখানে আর মিলছে না অতুলের লেখা এই দু’টি নথি। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের দাবি, ইচ্ছাকৃত প্রমাণ লোপাটের জন্য সেগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। যদিও পুলিশ এই নিয়ে মুখ খোলেনি। গুগ্‌লের তরফেও কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

আত্মহত্যার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখেছিলেন অতুল। সেখানে স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া এবং তাঁর পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছেন। গুগ্‌ল ড্রাইভে সেটি রাখা ছিল। ওই ড্রাইভ থেকে যে কেউ এত দিন সেটা দেখতে পেতেন। এখন সেই ড্রাইভে রয়েছে তাঁর লেখা কবিতা ‘ডেথ নোজ় নো ফিয়ার’, রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে তাঁর লেখা চিঠি এবং একটি বিবৃতি। ওই বিবৃতিতে অতুল দাবি করেছেন, স্ত্রী নিকিতা এবং তাঁর পরিবার যে সব অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে এনেছিলেন, সেগুলি মিথ্যে। প্রসঙ্গত, নিকিতা অতুলের বিরুদ্ধে হেনস্থার মামলা করেছিলেন। সেই সঙ্গে ‘পাশবিক অত্যাচার’-এর অভিযোগও এনেছিলেন। সেই মামলাতে আদালত অতুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। আত্মহত্যার আগে নিকিতার তোলা এই অভিযোগগুলিকে মিথ্যা দাবি করে বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন অতুল, যা গুগ্‌ল ড্রাইভে এখনও রয়েছে। এই ফাইলের সঙ্গে সুইসাইড নোট এবং রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিটিও ছিল, যা এখন নেই বলে অভিযোগ।

গত সোমবার বেঙ্গালুরুর ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অতুলের ঝুলন্ত দেহ। তার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখে প্রকাশ করেন। ৯০ মিনিটের একটি ভিডিয়োতেও নিজের বার্তা দেন। সেখানে স্ত্রী নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। নিকিতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে অতুলের। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার মামলাও করেছিলেন নিকিতা। সেই মামলাতে উত্তরপ্রদেশের আদালত অতুলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল। তার পরেই বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ ভেঙে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। অতুলের পরিবার নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের শাস্তির দাবি তুলেছেন। নিকিতার পরিবার যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেন, ‘‘যা হয়েছে, তার জন্য আমরা দায়ী নই। শীঘ্রই এর প্রমাণ দেব। আমরা কোনও ভুল করিনি। অতুলের মৃত্যুতে আমরাও দুঃখিত।’’ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া এবং শ্যালক অনুরাগ সিংহানিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement