ভোটের লাইনে অপেক্ষা। —ফাইল চিত্র।
‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল সোমবার লোকসভায় পেশ হওয়ার সম্ভাবনা কম। শুক্রবার যখন সংসদীয় কার্যক্রমের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে সোমবার এই সংক্রান্ত দু’টি বিল পেশের কথা উল্লেখ ছিল— সংবিধান (১২৯তম সংশোধনী) বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। কিন্তু পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে নতুন করে কিছু জানানো হয়নি। কী কারণে ওই বিল দু’টি তালিকা থেকে সরানো হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষের দিকে এই বিলটি পেশ করা হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিলে অনুমোদন দেয়। তখন থেকেই চর্চা শুরু হয়, এই বিল সংসদে পেশ হওয়ার সম্ভাব্য দিনক্ষণ নিয়ে। সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই কেন্দ্র এই বিল পেশ করতে চাইছে, এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। এই বিল আইনে কার্যকর হলে সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মোদী সরকারের যুক্তি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বড় অঙ্কের খরচ হয়, তা কমে যাবে। ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না এবং তার সঙ্গে সরকারি কর্মীদের উপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোট সংক্রান্ত নানা কাজকর্মের চাপ কমবে।
তবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিলে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি, এই নীতি আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর মাধ্যমে কেন্দ্র ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে বলে মনে করছেন বিরোধী নেতৃত্ব।