শনিবার স্ত্রীকে তাঁর বাপের বাড়িতে রেখে আসার পর ওই রাস্তা দিয়েই বাইক চালিয়ে ফিরছিলেন তিনি। প্রতীকী ছবি।
শনিবার রাতে ফাঁকা রাস্তায় একা দাঁড়িয়েছিল এক নাবালক। মানবিকতার খাতিরে তাকে সাহায্য করতে গিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন ৩১ বছর বয়সি সুধাকর। বাইকে ‘লিফট’ দিতে গিয়ে নিজের বাইক, মোবাইল ফোন-সহ টাকাপয়সা সব খোয়ালেন তিনি। চেন্নাইয়ের কোলাথুর এলাকার বাসিন্দা সুধাকর। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মদুরাভোয়াল এলাকা দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুধাকর।
এক সরকারি কর্মীর গাড়ির চালক হিসাবে কাজ করেন তিনি। শনিবার তাঁর স্ত্রীকে মুদিচুরে তাঁর বাপের বাড়িতে রেখে আসার পর ওই রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন তিনি। ভনগরম এলাকায় সুধাকর তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে এই ঘটনাটি ঘটে বলে দাবি করেন সুধাকর।
রাস্তায় এক নাবালককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিজের বাইক থামান তিনি। নাবালকটি বাড়ি ফেরার গাড়ি পাচ্ছিল না, তাই রাস্তায় বহু ক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে বলে জানায়। তার কথা শুনে নিজে থেকেই অচেনা নাবালককে সাহায্য করতে চান সুধাকর। পুলিশ সূত্রে খবর, বাইক থামানোর পর সুধাকর দেখতে পান যে, সামনের অন্ধকার গলি থেকে বেরিয়ে আসছেন অন্য একটি লোক। সুধাকরের সামনে এসে দাঁড়াতেই পকেট থেকে ছুরি বার করতেও দেখা যায় তাঁকে।
ছুরি দিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে নাবালকের সঙ্গে লোকটি সুধাকরের বাইকে চেপে বসেন বলে দাবি সুধাকরের। তার পর বাইকের পিছনে বসে দিকনির্দেশ করতে থাকেন লোকটি। নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর পর সুধাকরকে মারধর করে তাঁর বাইক, মোবাইল ফোন এমনকি টাকাপয়সাও নিয়ে পালিয়ে যান দু’জন। রবিবার স্থানীয় থানার পুলিশের কাছে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুধাকর। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।