এ বার থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক ‘ছাতা’র তলায় আনতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। —ফাইল চিত্র।
এ বার থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক ‘ছাতা’র তলায় আনতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে কোনও ফারাক যাতে না থাকে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
২০২২ সালে স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় গবেষণার উপরে জোর দেওয়ার কথা প্রথম বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে উঠে এসেছিল, ‘জয় অনুসন্ধান’-এর কথা। আধুনিক ভারতে দেশের গবেষকেরা বড় ভূমিকা নেবেন, সে কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার দু’বছর পর মোদীর মন্ত্রিসভার আলোচনায় উঠে এল দেশের গবেষকদের কথা। তাঁদের জন্যই নতুন প্রকল্প সূচনার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রকল্পের নাম ‘এক দেশ, এক সাবস্ক্রিপশন’। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কোনও বিভাজন করা হবে না। সকলে একই সংস্থার অধীনে গবেষণায় যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ বার সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চান মোদী। সোমবার ‘এক দেশ, এক সাবস্ক্রিপশন’ প্রকল্প সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর অধীনে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা কাজ করবেন। এমনই সিদ্ধান্ত সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে তিন বছরের জন্য। ২০২৫ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে প্রায় ৬ হাজার ৩০০ প্রতিষ্ঠান নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় দু’কোটি গবেষক সুবিধা পাবেন। তাঁদের জন্য বিশেষ গ্রন্থাগারেরও ব্যবস্থা থাকবে। তথ্য ও গ্রন্থাগার নেটওয়ার্ক (আইএনএফএলআইবিএনইটি) ইউজিসির অন্তর্ভুক্ত একটি সংস্থা। এই গ্রন্থাগারে ৩০টি প্রধান আন্তর্জাতিক জার্নাল প্রকাশককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকাশকদের প্রায় ১৩ হাজার ই-জার্নালের সব ক’টি সংস্করণ পড়ুয়ারা ব্যবহার করতে পারবেন। এই গোটা প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল মাধ্যমে হবে। গ্রন্থাগারের পাশাপাশি, গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধাও দেওয়া হবে গবেষকদের।